দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আসা ভারতফেরত যাত্রীরা।
বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে না যাওয়ায় ভারত থেকে আসা যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। কেউ কেউ পরিবহন অফিস ও আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। আবার অনেকে ইজিবাইক, অটো ও প্রাইভেট কারে করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি বাবলুর রহমান জানান, হঠাৎ করে ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদ কেন্দ্রীয় বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির সদস্যরা আলোচনা করে অনির্দিষ্টকালর ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করি। আমরাও ধর্মঘট পালনের জন্য সকলকে জানিয়েছি । সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গ থেকে কোন গণপরিবহন বা পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যায়নি। এসময় তিনি আরও বলেন ডিজেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা ও বাস ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
ভারত থেকে ফিরে আসা গোপালগঞ্জের জয়িতা তালুকদার ও সুরেশ তাদুকদার বলেন, আমরা ভারতে গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য। আজ বাংলাদেশে ফিরে আসার পর জানতে পারলাম পরিবহন ধর্মঘট চলছ। এখন কিভাবে বাড়ী যাবো বুঝতে পারছিনা। টাকাও বেশী নেই ট্যাক্সি রিজার্ভ করে যাবো। এজন্য কাউন্টারে বসে আছি । দেখি যদি বাস ছাড়ার নির্দেশ আসে এই আশায়।
ভারতফেরত যাত্রী আকাশ বলেন, ‘পরিবহন না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছি। ভাবছি আবাসিক হোটেলে উঠবো। জানি না কতদিন এখানে আটকে থাকতে হয়। কাছে টাকা পয়সা ও কম।
শ্রমিক নেতারা বলেছেন, করোনা মহামারিতে সাধারণ মানুষের আয় ও জীবনযাপনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। করোনার প্রকোপ কমে এলেও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। অধিকাংশ মানুষের আয় কমে গেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোয় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যাবে। কেননা, ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ায় পরিবহন ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। বাড়বে সব ধরনের দ্রব্যের মূল্যও।
খুলনা গেজেট/ এস আই