২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ২ টা ১৮মিনিটে মোটর সাইকেল নিয়ে বনানীর ইউলুপে দাঁড়িয়েছিলেন মনোরঞ্জন হাজং। এসময় প্রাইভেটকারের চাপায় মারাত্মক আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর প্রথমে তার ডান পায়ের গোড়ালি, পরে হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনা আলোড়ন তোলে সারা দেশে। কারণ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলে।
এ ঘটনায় মামলা হয় ১৩ দিন পর ১৬ ডিসেম্বর। ঘটনার সময় ভাইরাল হলেও, এরপর মামলার খোঁজ রাখেনি কেউ। গেল বছর ৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
রায়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ঘটনার সময় মনোরঞ্জন হাজং উল্টো দিক থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। সড়ক পরিবহন আইনের ৪৯ এর ঘ ধারা ভেঙেছেন তিনি। আর আসামি সঠিক লেন মেনে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
রায়ে আরও বলা হয়, আসামি সাঈদ হাসান অস্বাভাবিক বা অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন এমন তথ্য প্রমাণ অভিযোগপত্রে উল্লেখ নেই। ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গাড়ি চালিয়েছিলেন এমন তথ্য প্রমাণও নেই প্রসিকিউশনের কাছে। ঘটনার সময় আসামির স্ত্রী ও বন্ধুসহ গাড়ি চলছিলো কাজেই, সাঈদ হাসান অপ্রকৃতিস্থ হয়ে গাড়ি চালানোর কারণও নেই।
সার্বিক পর্যালোচনায় আদালত বলেন, মনোরঞ্জন হাজং সড়ক পরিবহন আইনের ৪৯ এর ঘ ধারা ভাঙার কারণেই এ দুর্ঘটনা। বেআইনিভাবে কোনো কাজ করতে গিয়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে তিনি প্রতিকার পাওয়ার হকদার নন। আর তাই আসামি সাঈদ হাসানকে খালাস দেয়া হলো।
এর মধ্য দিয়েই আলোচিত এ ঘটনার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দেন আদালত।
খুলনা গেজেট/ এসজেড