দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তদের বদলি কোনো শাস্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি এ কে আব্দুল মোমেন। তার মতে, দুর্নীতিগ্রস্তদের সম্পদ নিলামে তুলে বিক্রি করে দেওয়া উচিৎ। একই সঙ্গে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
রবিবার ( ৩০ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যকাউন্টে এমন মন্তব্য করেন আব্দুল মোমেন।
তিনি লেখেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে বদলি কোনো কার্যকরী শাস্তি হতে পারে না। বরং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের সঠিক হিসাব বের করতে হবে এবং তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া দরকার এবং অবশ্যই তাকে তড়িতাবেগে চাকরিচ্যূত করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বদলি শাস্তি হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, সরকারি চাকুরিজীবির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ও সম্পদ হচ্ছে তার সরকারি চাকুরিটি।
দুর্নীতি পরায়ণরা জনগণের শত্রু, দেশের শত্রু।’
এদিকে আজ রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে পরিদর্শী রেঞ্জ-১, কর অঞ্চল বগুড়ায় বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর। এতে বলা হয়েছে,চিঠিতে তাকে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১ এ বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফয়সালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত।
এ ঘটনার পরই বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য আব্দুল মোমেন। তার এই স্ট্যাটাসের মন্তব্যে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি