খুলনার বটিয়াঘাটায় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাবুল আলীকে ২ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার খুলনা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: হাদিউজ্জামান এ নির্দেশ দেন। এর আগে পুলিশ তাকে নগরীর দৌলতপুর থানা এলাকার দেয়ানা দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে খুলনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩ এর বিচারক তাকিয়া সুলতানার কাছে ওইদিন রাতের বিবরণ জানিয়ে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন ভিকটিম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: নুর ইসলাম বলেন, ভিকটিমের স্বামী ওইদিন রাতে বাড়িতে ছিলেন না। রাতের খাবার খেয়ে তার মেয়ে ও স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে উঠানো হয়। এরপর ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চেতনানাশক দ্রব্য পান করানো হয়। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার স্ত্রীর হাত থেকে কয়েকটি সোনার এবং রুপার অংটি ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।
পরেরদিন সকালে ৫ বছরের কন্যা ফোন করে ঘটনার বিবরণ জানালে ভিকটিমের স্বামী বাড়ি ফিরে এসে তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। রোববার রাতে শান্তিনগর এলাকার ছোটনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাবুল আলীকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দন্ডবিধি ৯(১), ৩২৮/ ৩৮০ ধারায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ৭। রাতে বাবুল আলীকে দৌলতপুর দেয়ানার দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। ধর্ষণের সাথে জড়িন নয় বলে জানায় সে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের আবেদন করে প্রেরণ করলে আদালত তাকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে তাকে থানায় আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুপুরের দিকে ওই নারী শুক্রবারের রাতের ঘটনার বিবরণ জানিয়ে আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে তাকে স্বামীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার শান্তিনগর এলাকার নারীকে চেতনানাশক দ্রব্য পান করায় দুর্বৃত্ত। ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার হাতে থাকা সোনার ও রুপার আংটিসহ ওয়ারড্রব থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে ওই নারীর পরণে কোন কাপড় নেই। এ ঘটনা নিয়ে ওই এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই