তদারকির অভাবে বটিয়াঘাটার কাজীবাছা নদীসহ উপকূলীয় নদী পশুর, শোলমারী ও শিবসা নদীতে অবাধে নেট জাল দিয়ে রেনু পোনা ধরায় ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু।
নেট জাল দিয়ে রেনু ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ নদীর দু’পার দিয়ে হাজার হাজার নেট জাল টেনে বাগদা ও গলদার রেনু ধরছে এলাকার অনেক মানুষ। এতে রেনু ধরার সাথে সাথে অন্যান্য জাতের কোটি-কোটি মাছের রেনু ধ্বংস হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কোস্ট গার্ড এর দায়িত্ব নেট জাল দিয়ে যাতে রেনু ধ্বংস করতে না পারে তা দেখা। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় কোস্ট গার্ড অথবা মৎস্য অধিদপ্তরের লোকজন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু জাল জব্দ ও জরিমানা করলেও থেমে নেই এই নেট জাল দিয়ে রেনু ধরা। তাই যখন কোস্ট গার্ড বা মৎস্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন সে সময়টুকুই তারা গা ঢাকা দেন। তারা চলে গেলেই পুণরায় শুরু করেন রেনু ধরা। এমন করেই পরবর্তি অভিযান পরিচালনা না হওয়া পর্যন্ত চলে অবাধে রেনু ধরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে মাছের বংশ ধ্বংস হয়ে বটিয়াঘাটার নদ-নদীতে মৎস্য সংকট আরোও তীব্রতর হবে।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল মামুনের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, তারা যথাসাধ্য নেট জাল বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে কোস্ট গার্ডও যথেষ্ট সহায়তা করছেন। কিন্তু এরা এত সচেতন যে অভিযান শুরুর পূর্বেই তারা কিভাবে অবহিত হয়ে যান এবং দ্রুত জাল নিয়ে সরে পড়েন। তা সত্বেও মাঝে মধ্যে জাল ধরা ও জরিমানা করা হয়। এ অবস্থায় অব্যাহত থাকবে।
খুলনা গেজেট/এনএম