খুলনার বটিয়াঘাটার আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৮ মে) খুলনা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: হাদিউজ্জামান এ রিমান্ডের নির্দেশ দেন। অপরদিকে এ মামলার ভিকটিম (১৩) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ এর বিচারক রনক জাহানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
রিমান্ড প্রাপ্ত আসমিরা হলো, বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকার মোহম্মদ শেখের ছেলে মুজাহিদ শেখ ও একই এলাকার হুমায়ুন মোড়লের ছেলে নাঈম মোড়ল।
আদলত সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ি এলাকার মুজাহিদ প্রায় ধর্ষিত ওই শিশুকে উত্যক্তসহ বিভিন্ন ধরণের কুপ্রস্তাব দিত। তাতে সাড়া না দিলে তার ক্ষতি করার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন রাতে ভিকটিমের বাবা মা কেউ বাড়িতে ছিলনা। বাড়িতে ওই শিশু ও তার খালাতো বোন ছিল। এ সুযোগ পেয়ে মুজাহিদ শেখ, আজিজুল মোড়ল ওরফে মেশোসহ আরও দু’জন ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িটি নির্মাণাধীণ হওয়ায় ঘরের দরজা ও জানালা দড়ি ও কাপড়ের সাহায্যে বেঁধে রাখা ছিল।
দুর্বৃত্তরা ওই দিন রাতে টেষ্টার ও ধারালো ছুরির সাহায্যে দরজার দড়ি কেটে ফেলে। ঘরে ঢুকে মেশো ওই ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিশুটি তাকে চিনতে পেরে আকুতি জানায়। মেশো সেখান থেকে বের হয়ে আসে। এরপর মুজাহিদ ঘরের ভেতর গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ওই এলাকায়সহ খুলনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে র্যাব ও পুলিশ তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার এ মামালার আসামি আজিজুল মোড়ল ওরফে মেশো আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় তার অবস্থানের কথা জানিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ ঘটনায় শিশুটির মা তিনজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায়া মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঙ্গলবার মুজাহিদ শেখ ও নাঈমকে উপস্থিত করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত আজ তাদের দু’জনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার ভিকটিম শিশু (১৩) ওইদিন রাতের ঘটনার বিবরণ জানিয়ে বুধবার আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ এর বিচারক রনক জাহান।