খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ মাঘ, ১৪৩১ | ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  নগরীর শেখপাড়া তেতুলতলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অর্নব কুমার সরকার গুলিতে নিহত

বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণ বিলম্বে উৎসুক জনতাসহ তিন কারণ

গেজেট ডেস্ক

বঙ্গবাজারের আগুন ৭৫ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভেছে। আর আগুন নিয়ন্ত্রণের কারণ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সম্পূর্ণ নেভাতে আরও প্রায় ৬৯ ঘণ্টা লাগায় এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হলেও তাঁরা (ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা) অপরিকল্পিত মার্কেট নির্মাণ, উৎসুক জনতা ও পানি স্বল্পতাকে দায়ী করেছেন তারা।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় আগুন নির্বাপণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরেও ধ্বংসস্ত‚পের স্থানে স্থানে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার শুক্রবার দুুপুরে বলেন, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সটি তিন তলা টিনশেড ছিল। কাঠের পিলারের ওপর কাচের বিল্ডিং ছিল। আগুন লাগার পর কাঠের পিলারগুলো পুড়ে যেতেই ভবনটি বসে পড়ে। এর ভেতরে তখন অনেক উঁচুমাত্রার আগুন ছিল। প্রচুর শাড়ি, কাপড় ও দাহ্য বস্তু ছিল। টিনের নিচে যেগুলো পুড়তে থাকে। ফায়ার ফাইটাররা পানি ছিটালেও টিন ভেদ করে পানি ভেতরে প্রবেশ করছিল না। একটি একটি করে সরিয়ে সামনে যেতে হয়েছে। এভাবেই আগুন নেভাতে হয়েছে। এক জায়গায় আগুন নেভাতে গেলে আরেক জায়গায় আগুন জ্বলে উঠেছে। সেখানে গিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এটি নন-ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ছিল। এ কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। মার্কেটটি যদি পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হতো তবে আগুন নেভাতে সময় অনেকটা কম লাগত বলে তিনি উলে­খ করেন।

মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। ভয়াবহ আগুনে বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেটের সব দোকান পুড়ে যায়। পাশের এনেক্সকো টাওয়ারসহ আরও কয়েকটি ভবনে ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এরপর ওইদিন দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন আর আগুন ছড়াবে না। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট কাজ করেছে।

তিনি জানান, প্রতিটি ভবন ও কক্ষে গিয়ে আগুন আছে কিনা, পরীক্ষা করতে হবে। এ কারণে সময় লাগবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনটি প্রতিবন্ধকতার কথা উলে­খ করে তিনি বলেন, প্রধান বাধা ছিল উৎসুক জনতা। আগুন নেভাতে পানিস্বল্পতার কথাও জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। এছাড়া বাতাসের কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রাশেদ বিন খালেদ বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে নির্বাপণের কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। আগুন লাগার পর নিরাপত্তার কথা ভেবে এই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!