খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকরা বিদায় নেয়ার পর নতুন রূপে এ জাতির ওপর শোষক হিসেবে আবির্ভূত হয় পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক শ্রেণী। পাকিস্তানের এই শোষণ, বঞ্চনা, অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালিরা সোচ্চার হয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়তে থাকে। বাঙালির এ আন্দোলনের নেতৃত্বে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির এই আন্দোলনকে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২‘র ভাষা আন্দোলন, ৬৬‘র ছয় দফা, ৬৯‘র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৯ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু‘লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আজ সে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির দিন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা জাতিকে বিজয়ের স্বাদ এনে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে পাকিস্তানের শাসন-শোষণ, জুলুম-অত্যাচার, নির্যাতন এবং সব বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের অধিকার আদায়ে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তিনি নিজে অত্যাচারিত, নির্যাতিত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন, কিন্তু মানুষের অধিকার আদায়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও কখনো আপোষ করেননি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবীর, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, ওমর কামাল সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। মাল্যদান শেষে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই