খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুল ইসলাম বিমানবন্দরে আটক; স্ত্রী সহ কানাডার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি
  ব্যক্তিগত আয়কর দেয়ার সময় বাড়লো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি : এনবিআর

মুজিববর্ষের কাভার ছবিতে কাটাকাটির ঘটনায় মোংলা বন্দ‌রে তদন্ত কমিটি

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘সরকারি নথির’ একটি চিঠিতে মুজিববর্ষ সংবলিত বঙ্গবন্ধুর কাভার ছবিতে কলম দিয়ে কাটাকাটি নিয়ে বন্দর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা ঘটে। ১২ পৃষ্ঠার এ চিঠির সাতটি পত্রে কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে এরই মধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে।

বন্দরের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যরা হলেন-বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার বি এম নুর মোহাম্মদ ও উর্ধ্বতন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ ফজলে আলম। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা উদঘটনসহ দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কমিটির সদস্যরা তা সম্পুর্ন করতে পারেননি।

বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রসাশন) কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যেহেতু বিষয়টি ক্রিটিকাল তাই এটি তদন্ত করে বের করতে আরও সময় লাগবে।

বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর, তদন্ত হচ্ছে। তবে তদন্তে দুঃখজনক এই ঘটনার জন্য যে দায়ী হবেন তার বিরুদ্ধে বন্দর আইনে সর্বচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক সুত্র জানায়, ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের কার্গো হ্যান্ডলিং সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত সরবরাহ প্রসঙ্গে ১২ পৃষ্ঠার একটি নথি ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখায় পাঠানো হয়। সরকারি এই ফাইলেরই অফিস কপির সাতটি পৃষ্ঠা জুড়ে মুজিব বর্ষের বঙ্গবন্ধুর কাভার ছবিতে ট্রাফিক বিভাগের দপ্তরে কলম দিয়ে কাটাকাটি পাওয়া যায়।

পরে বন্দরের পরিচালক (প্রসাশন) স্বাক্ষরিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের নথি নম্বর ১৮.১৪.০১৫৮.১৮০.০০.০৫৬.(২).২১ এর উপরের কাভার সহ বেশ কিছু খসড়া পত্রে বঙ্গবন্ধুর লোগোতে কাটাকাটি অবস্থায় পাওয়া যায় মর্মে বিষয়টি অত্যান্ত গুরুতর ও স্পর্শকাতর বিধায় উল্লেখ করে দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়।

এদিকে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার এবং সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজারের দপ্তরের কেউ একজন এই ঘৃণীত কাজটি করতে পারেন বলে ধারনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কর্মকতাদের।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!