খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি

গেজেট ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের ওই কর্মসূচিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ পাঁচটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি ৫০০ অতিথি অংশগ্রহণ করবেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল এবং পোপ ফ্রান্সিস।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হবে মূলত দুটি পদ্ধতিতে। ১৭, ১৯, ২২, ২৪ ও ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান হবে স্বশরীরে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে। আমন্ত্রিত অতিথিদের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, ২০২১ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিওভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার থিমগুলো হলো- ১৭ মার্চ ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।

১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ ও ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এই পাঁচদিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানরা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আগামী ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, ১৯ মার্চের অনুষ্ঠানে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চের অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী, ২৪ মার্চের অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।

এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত আকারে ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া, এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানসহ অন্য পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থারপ্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হবে। প্রত্যেকদিনের অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

আগামী ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ১৮ মার্চের অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ২০ মার্চের অনুষ্ঠানে ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, ২২ মার্চের অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, ২৪ মার্চের অনুষ্ঠানে পোপ ফ্রান্সিস, ২৫ মার্চের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন এবং বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাপানের তাকাশি হাওয়াকাওয়ার ছেলে ওসামু হাওয়াকাওয়া।

অনুষ্ঠানের সময় সম্পর্কে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। অন্যান্য দিনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!