বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তিকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র করেছিলো। সেনাবাহিনীর উচ্চাভিলাশী সদস্য জিয়া, মোস্তাক, তাহের ঠাকুর, শফিউল আলম প্রধান গংয়েরা পশ্চাৎপদ রাজনীতির চিন্তা চেতনার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলো। সেকারনেই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
কারবালার হত্যাকান্ডের পরে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ঘটনা ছিলো ইতিহাসের জঘন্য ও ঘৃণিত অধ্যায়। তারা ভেবে ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলে স্বাধীন বাংলাদেশ তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকবে। কিন্তু জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীদের স্বপ্ন ব্যর্থ হয়েছে।
শনিবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারী, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আসাদুজ্জামান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন। সভাপরিচালনা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, বিএমএ সালাম. নূর ইসলাম বন্দ, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, শেখ মোঃ ফারুক হোসেন, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড আইয়ুব আলী শেখ, এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড ফরিদ আহমেদ, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাড খন্দকার মুজিবর রহমান, এ্যাড অলোকা নন্দা দাশ, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, বিরেন্দ্র ন্থা ঘোষ, কামরুল ইসলাম বাবলু, শেখ নূর মোহাম্মদ, কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ আনোয়ার হোসেন, এ্যাড রবিন্দ্র নাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, মাকসুদ আলম খাজা, কাউন্সিলর শামসুজ্জামান স্বপন, এ্যাড আব্দুল লতিফ, মনিরুজ্জামান খান খোকন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, বিএম জাফর, এ্যাড সরদার আনিসুর রহমান পপলু, শেখ পীর আলী, মোঃ মোতালেব মিয়া, শেখ মোঃ আবু হানিফ, শেখ ফারুখ হোসেন হিটলু, এসএম খালেদিন রশিদী সুকর্ণ, মাঈনুল ইসলাম নাসির, নূর ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, জাহিদুল হক, মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ আবিদ উল্লাহ, এ্যাড শেখ ফারুখ হোসেন, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, ইমরানুল হক বাবু, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মোঃ মোতালেব মিয়া, সরদার আব্দুল হালিম, হাসান ইফতেখার চালূ, মোঃ শিহাব উদ্দীন, শেখ মোঃ রুহুল আমিন, এ্যাড শামিম মোশারফ, ইউসুফ আলী খান, জাকির হোসেন, এসএম আকিল উদ্দীন, এ্যাড সেলিনা আক্তার পিয়া, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, গোপাল চন্দ্র সাহা, এসএম হাফিজুর রহমান হাফিজ, মুনিরুজ্জামান সাগর, হাবিবুর রহমান দুলাল, জলিল তালুকদার, অজিত বিশ্বাস, জামিল খান, আনিসুল রহমান, ইলিয়াস হোসেন লাবু, সোহেল বিশ্বাস, মাহামুদুর হাসান শাওন, জব্বার আলী হীরা, ইখতিয়ার মোল্লা, শাহীন আলম সহ দলের বিভিন্ন নেতা কর্মীবৃন্দ।
আলোচনা সভা শুরুতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভার শেষে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ করে দলীয় কার্যালয়ে ও খুলনা বেতারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এছাড়াও দলীয় কার্যালয়ে দিন ব্যাপী কোরআন খানি, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ