আগামী মাসে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। এই টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দল, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফিটনেস পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন। এর বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টি কাপের আগে বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে। কিছু দিন আগেই বিপ টেস্টের বদলে ফিটনেস যাচাইয়ের জন্য ইয়ো ইয়ো টেস্ট প্রক্রিয়া চালু করেছে বিসিবি। এবারও তাদের পরীক্ষা হবে ইয়ো ইয়ো টেস্টের মাধ্যমে।
এই টুর্নামেন্টের ড্রাফট তালিকা প্রকাশের পরই ফিটনেস টেস্টের বিস্তারিত জানাবে বিসিবি। ক্রিকেটারদের এই ফিটনেস পরীক্ষার জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
বিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সময় জাতীয় দল, এইচপি ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছে এতে আমরা বেশ উৎসাহ পেয়েছি। তাদের এই চেষ্টা দলীয় অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার সময় সাহায্য করেছে। যারা এই সেটআপের বাইরে ছিল তাদের কথা ভেবেই আমরা ফিটনেস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধান নির্বাচকের ভাষ্য, ‘লকডাউনের মধ্যে জাতীয় দল, এইচপি এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে অনুশীলন করেছে এটা অনেক বেশি উৎসাহমূলক ছিল। এছাড়াও ক্যাম্পে দলগত অনুশীলন এবং ম্যাচ শুরু হতেই তারা যেভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এটাও দুর্দান্ত ছিল।’
‘আমরা আশা করছি, আমাদের সেট আপের বাইরে অন্যান্য ক্রিকেটার যারা আছে তারাও ফিটনেসের ক্ষেত্রে একইরকমভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে এবং টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে।’- আরও যোগ করেন প্রধান নির্বাচক নান্নু।
বিসিবির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেবে পাঁচটি দল। এই টুর্নামেন্ট আগামী ১৫ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এক সপ্তাহ পেছাতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
খুলনা গেজেট/এএমআর