আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। গত ১৮ অক্টোবর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই ওয়ানডে অধিনায়ক।
সিটি ক্লাব মাঠে দৌড়ানোর সময় এই চোটে পড়েন মাশরাফি। এরপর এই চোটের মাত্রা জানতে তাকে একটি স্ক্যান করানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক এখনও স্ক্যান করাতে পারেননি।
কারণ তার মেয়ে হুমায়রা মুর্তজা এবং ছেলে সাহেল মুর্তজা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে বাধ্য হয়েই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে মাশরাফিকে। এর ফলে যথা সময়ে স্ক্যানও করাতে পারছেন না তিনি। মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ স্থগিতের পর আর মাঠে ফেরা হয়নি মাশরাফির।
করোনার দীর্ঘ বিরতির পর ১৯ জুলাই থেকে বিসিবির তত্ত্বাবধানে ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করলেও মাশরাফি সেই অনুশীলনে যোগ দেননি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে। এরপর ফিটনেসের কারণে প্রেসিডেন্টস কাপেও অংশ নেননি।
যদিও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তিনি খেলবেন বলে জানিয়েছেন। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মাশরাফির। তিনি জানিয়েছেন, মাশরাফি টি-টোয়েন্টি কাপে খেলবেন কিনা এই বিষয়ে তারা এখনও ধোঁয়াশায় আছেন।
নান্নু বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সে আসন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। যদিও আমরা আশাবাদী সে এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেবে। কারণ সে অধীর আগ্রহে এই টুর্নামেন্টের জন্য অপেক্ষা করছে।’
টি-টোয়েন্টি কাপে মাশরাফির খেলা না খেলা নির্ভর করছে তার স্ক্যানের ওপর, এমনটাই জানিয়েছেন নান্নু। এ ছাড়া ছেলে-মেয়েরা করোনা থেকে সেরে উঠলেও মাশরাফিকে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে বলে মনে করেন বিসিবির এই নির্বাচক।
তিনি বলেন, ‘মূলত সে স্ক্যান করাতে যেতে পারছে না। কারণ সে কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে আছে। তার ছেলে সেরে ওঠার পরও তাকে কিছুটা বিশ্রাম নিতে হবে এবং এরপর এই প্রতিযোগীতার জন্য তাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এটাও নির্ভর করছে তার ইনজুরির অবস্থার ওপর। তার স্ক্যান রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে তার খেলা না খেলা।’
যেকোনো ছোটো ইনজুরি সেরে উঠতে অন্তত ২১ দিন সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ। মাশরাফিকে তারা এখনও সামনে থেকে দেখেননি। তবে জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর সঙ্গে নিয়মিতই তার যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানালেন এই চিকিৎসক।
দেবাশিষের ভাষ্য, ‘একটি ছোটো চোট সেরে উঠতে অন্তত ২১ দিন সময় লাগে। আমরা যেহেতু তাকে সরাসরি দেখিনি তার শারীরিক অবস্থা বুঝতে পারছি না। তবে জুলিয়ানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে এবং তার দেয়া নিয়মনীতি মেনে চলছে মাশরাফি।’
খুলনা গেজেট/এএমআর