বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে বেতগাড়ী এলাকায় বাস-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কাভার্ডভ্যানচালক, ঢাকার পল্লবী থানার টিটু খানের ছেলে মো. হৃদয় (২২), নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জেসমিন (৩৫), বগুড়া সদরের সুত্রাপুর এলাকার মাহবুব হোসেনের ছেলে শামীম হাসান (৪৫) ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আব্দুল হানান।
আহতরা হলেন- নওগাঁ সদরের মো. শাওন হোসেন (৩০), মো. বাবুল মিয়া (৩৫), বরিশালের হিজলার মো. আলিফ (৩৫), বগুড়া সদরের মো. রেজাউল করিম (৪৫), কাহালু উপজেলার মো. সুজন মিয়া (৩৫), শেরপুর উপজেলার মোহাম্মদ সৈকত (১৮) ও রংপুরের ডিমলা উপজেলার মো. অমিত (১০)।
আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিলাদুন্নবী বলেন, ঢাকা থেকে শাহ ফতেহ আলী বাসটি নওগাঁর দিকে যাচ্ছিল। ভোর ৪টার দিকে বগুড়ার বেতগাড়ী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাভার্ডভ্যানের চালক হৃদয় ও জেসমিন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শামীম নামে একজন মারা যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
ইন্সপেক্টর মিলাদুন্নবী আরও বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বাকি ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের প্রায় সবাই মাথায়, পায়ে, হাতে ও বুকে আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ থানার ওসি আব্বাস আলী হতাহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাস ও কাভার্ডভ্যান পুলিশের হেফাজতে আছে।
খুলনা গেজেট/এনএম