খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
  চাঁদপুরে মালবাহী জাহাজ থেকে ৭ মরদেহ উদ্ধার ; মুমূর্ষু ১
  ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বিয়ের খরচ বাঁচিয়ে বই উপহার দিলেন নবদম্পতি

গেজেট ডেস্ক

বাগেরহাটে বিয়ের অনুষ্ঠান সীমিত করে খরচ বাঁচিয়ে সেই টাকা দিয়ে বই বিতরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন এক নবদম্পতি। জেলার চিতলমারী উপজেলার মাধন-সাথী দম্পতি নিজেদের বউভাত অনুষ্ঠান সীমিত করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের বই।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর চিতলমারী সদর ইউনিয়নের কালশিরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাখন লাল ব্রাহ্মণের ছেলে মাধব চন্দ্র ব্রাহ্মণের সঙ্গে রায় গ্রামের অমল ঢালীর মেয়ে সাথী ঢালীর বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে কালিদাস বড়াল স্মৃতি (ডিগ্রি) মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন লেখকের ৫ শতাধিক বই। মাধন-সাথী দম্পতি এই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।

এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায়, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়ালসহ শিক্ষাক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

দম্পতির পরিবার সূত্রে জানাযায়, ১৫ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে মাধব চন্দ্র ব্রাহ্মণের সঙ্গে সাথী ঢালীর বিয়ে হয়। পরদিন রেওয়াজ অনুযায়ী বরের বাড়িতে বউভাতের আয়োজন করা হয়। তবে বর মাধন চন্দ্রের আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল বিয়ের পর তার ও তার স্ত্রীর স্কুল-কলেজের বর্তমান সব শিক্ষার্থীকে বই উপহার দেওয়ার। মাধব বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) শাখায় কর্মরত।

শিক্ষার্থীদের বই উপহার দেওয়ার বিষয়ে কালিদাস বড়াল স্মৃতি (ডিগ্রি) মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায় বলেন, শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উৎসাহিত করতে এবং আলোকিত মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করতে এই উদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাধবসহ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মিলে প্রতি বছর নবীণ বরণে শিক্ষার্থীদের গাছের চারা উপহার দেন।

মাধব চন্দ্র ব্রাহ্মণ বলেন, বিয়ের পর সবাই তো বউভাতে দাওয়াত করে খাওয়ার আয়োজন করে। আমার ইচ্ছে ছিল খাবারের আয়োজনে অনেক বেশি খরচ না করে, যেসব স্কুলে-কলেজে পড়ছি, আমার স্ত্রী যেসব জায়গায় পড়ছে, সেখানের সব বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে একটি করে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বই উপহার দেব। সেই চিন্তা থেকে বিষয়টি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করি। বৃহস্পতিবার আমরা বই দেওয়া শুরু করেছি। এই কলেজে আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনই পড়েছি। পর্যায়ক্রমে আমাদের পড়ালেখা করা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে বই উপহার দিতে চাই।

চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, ছেলেটা আসলেই বই পাগল। তার নিজস্ব একটা লাইব্রেরিও রয়েছে। তার অবসর সময়ে সে গ্রামের সাধারণ মানুষকে তার লাইব্রেরি থেকে পড়ার জন্য বই দিয়ে থাকে। তার উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!