বই পড়ে পুরস্কার পেয়েছে খুলনা মহানগরীর ৪৯টি স্কুলের ৩ হাজার ১২৬ জন শিক্ষার্থী। বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচি আওতায় শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে খুলনা মহানগরীর ৪৯টি স্কুলের প্রায় ৫ হাজার ৫০০ ছাত্রছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। মূল্যায়নপর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দেওয়ায় ৩ হাজার ১২৬ জন শিক্ষার্থী পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। শুক্রবার পুরস্কার বিতরণ উৎসবে ২ হাজার ২৩৬ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং ৮৯০ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক পুরস্কার গ্রহণ করে।
দিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ। অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অলোক কুমার মৈত্র, গ্রামীণফোনের খুলনা রিজিওনাল হেড বুশরা মেহরিন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।
অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন; জেলা শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ, খুলনা পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মোল্যা ফরিদ আহম্মেদ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের খুলনা মহানগরের সাবেক সংগঠক হুমায়ুন কবির ববি।
সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, আমাদের সকলকে বই পড়তে হবে। বই আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। একটা জিনিসকে নানা আঙ্গিকে দেখার জন্য বই পড়তে হবে। বই পড়ার মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামীদিনকে অর্থ বহ করে তোলার জন্য বেশি বেশি বই পড়া উচিত।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি আবদুস সামাদ বলেন, পাঠ্য বইয়ের বাইরে সাহিত্যর বইগুলো সবসময় জীবনের জন্য প্রয়োজন। আমরা সবাই এই জীবন পাঠশালার ছাত্র-ছাত্রী মাত্র। তাই বিশ্ব নাগরিক হবার জন্য বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার শিরোনামের চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
দিনব্যাপী উৎসবের পুরস্কারের বই স্পন্সর করছে গ্রামীণফোন লিমিটেড।