খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২০১৮’র রাতের ভোটের দায় স্বীকার করে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার জবানবন্দি
  শেখ হাসিনাসহ তিনজনের পক্ষে অভিযোগ গঠনে সময় আবেদন, পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই
খুলনায় এখনও পৌঁছেনি সব বই

বই ছাড়াই ক্লাসে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বছরের প্রথম দিন নতুন বই নিতে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে হাজির হয়েছিলো খুলনা জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী  সৌভিক দে। প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর তার হাতে তুলে দেওয়া হয় শুধু ইংরেজি বই। গত দুই দিন বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। কিন্তু আর কোনো বই পায়নি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। বই ছাড়াই ক্লাস করতে হচ্ছে তাদের।

একই অবস্থা চতুর্থ শ্রেনির শিক্ষার্থীদের। তাদের দেওয়া হয়েছে শুধু সাধারণ বিজ্ঞান বই। অথচ ক্লাস হচ্ছে সব বিষয়ের।

শুধু জিলা স্কুলই নয়, নগরীর অধিকাংশই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে একই দৃশ্য দেখা গেছে।

নগরীর কেসিসি কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শুধু বিজ্ঞান বই দেওয়া হয়েছে। অথচ বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ৬টি বিষয়ের  ক্লাস হচ্ছে। শিক্ষকরা পুরাতন বই নিয়ে ক্লাসে পাঠদান করছেন। কিন্তু কী পড়ানো হচ্ছে ধরতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে আবার বাড়িতে পড়াও দেওয়া হচ্ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ অভিভাবকরা।

খুলনা জেলা প্রাথমিক অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, খুলনায় ১ হাজার ৫৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। চলতি বছরে জেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১০ লাখ ৬৫ হাজার ২৩১টি। চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৮০ শতাংশ বই এসেছে। এর মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে একটি বই। অন্যান্য শ্রেণিতেও সম্পূর্ণ বই মেলেনি।

অপরদিকে খুলনায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২০টি ও মাদ্রাসা ১৩৬টি। ২৯ লাখ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বই খুলনায় পৌঁছেছে। মাধ্যমিক স্তরে তৃতীয় ও ষষ্ঠ, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ পাঠ্যবই পেয়েছে। বাকিরা কেউ একটি, কেউ দুটি করে বই পেয়েছে।

জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সৌভিক দে খুলনা গেজেটকে বলেন, ৩ দিন ধরে শুধু ইংরেজি বই পড়ছি। এক বই পড়তে আর ভালো লাগে না।

কেসিসির কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মানহা হোসাইন বলেন, ম্যাডাম ও স্যাররা ক্লাসে পুরাতন বই দেখে পড়াচ্ছে। অনেকে পুরাতন বই জোগাড় করেছে। আমিসহ যাদের কাছে পুরাতন বই নেই, তারা কিছুই বুঝতে পারছি না।

খুলনা জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শ্রেণি শিক্ষক বিউটি মল্লিক খুলনা গেজেটকে বলেন, ছোট বাচ্চারা বই ছাড়া পড়তে চায় না। তাদেও বুঝিয়ে শুনিয়ে রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারহানা নাজ বলেন, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে একটি করে বই এসেছে। তবে অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা সব বই পেয়েছে। বাকি বই দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।

সার্বিক বিষয় নিয়ে খুলনার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন খুলনা গেজেটকে বলেন, ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ বই চলে এসেছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সব বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!