ফ্রিল্যান্সারকে মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তিন কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ছয় সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। এ ছাড়া গোয়েন্দা শাখার (ডিবির) পরিদর্শক রুহুল আমিনের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি ঘটনা অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ মার্চ পুলিশ কমিশনার ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও এক পরিদর্শকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উত্তর-দক্ষিণ জোনের এসআই মো. আলমগীর হোসেন, এএসআই মো. বাবুল মিয়া, মো. শাহ পরাণ জান্নাত ও মইনুল হোসেন এবং কনস্টেবল জাহিদুর রহমান ও মো. আব্দুর রহমান।
ভুক্তভোগী ফ্রিল্যান্সার আবু বক্কর সিদ্দিকের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার গুলবাগ আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে ও তাঁর বন্ধু ফয়জুল আমিনকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি উত্তর দক্ষিণের পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল। সেখান থেকে তাঁদের নগরীর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন দুজনকে অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে নন-এফআইআর প্রসিকিউশনের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। আবু বক্কর জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আবু বক্করের অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, আটক থাকা অবস্থায় ডিবি পুলিশের সদস্যরা তাঁর হাতের ছাপ নিয়ে তাঁর বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার বিটকয়েন সরিয়ে নেয় অন্য অ্যাকাউন্টে। এ সময় তাঁকে মেরে ফেলার ও মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানোর হুমকিও দেন ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
এ ঘটনায় সিএমপি কমিশনার ২ মার্চ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায় কমিটি।
খুলনা গেজেট/এইচ