দর্শক বিবেচনায় বিজ্ঞাপনী ম্যাচেই ফ্লপ ভারতে অনুষ্ঠেয় পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং রানার্স আপ নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে আসরের পর্দা তুলেছে স্বাগতিক ভারত। আয়োজকদের আশা ছিল, ম্যাচটি দর্শকপ্রিয় হবে। সেজন্য সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে বরাদ্দ পেয়েছিল ম্যাচটি।
শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী, দুই দলও উত্তাপের ম্যাচের আভাস দিয়েছে। অথচ ওই ম্যাচই টানতে পারেনি দর্শক। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম বিশ্বের সর্বাধিক দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়ামগুলোর একটি। প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক বসে সেখানে খেলা দেখতে পারে। অথচ ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ শুরুর সময় গ্যালারিতে দর্শক ছিল চার-পাঁচ হাজারের মতো। পরে অবশ্য দর্শক কিছুটা বাড়ে।
ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত পর্যাপ্ত টিকিট বিক্রি না হওয়ায় দর্শক খরার বিষয়টি আয়োজকরা টের পেয়েছিলেন। সেজন্য নারী দর্শকদের ফ্রি’তে উদ্বোধনী ম্যাচ দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল ক্ষমতাশীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ভারতের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, নারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ ফ্রি টিকিট বরাদ্দ দিয়েছিল রাজনৈতিক দলটি।
যার মানে প্রায় ৪০ হাজার ফ্রি টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেচ্ছাসেবক দ্বারা ওই টিকিট খেলা দেখতে আগ্রহী নারী দর্শকদের হাতে তুলেও দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তারপরও মাঠে দর্শক আনা সম্ভব হয়নি।
ফাঁকা গ্যালারিতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হওয়ায় আয়োজক ভারতকে নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। কারণ সবচেয়ে কম মূল্যের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয় এক হাজার রুপি। যে কারণে দর্শক ম্যাচ দেখতে আগ্রহী হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে দেশটির সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে দর্শক খরা হতে পারে। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে ম্যাচ প্রতি গড় দর্শক ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও গ্যালারিতে ১৫ হাজারের ওপরে দর্শক ছিল। কিন্তু বড় গ্যালারি হওয়ায় তা ফাঁকা দেখা গেছে। ‘অজুহাত’ যা-ই হোক উদ্বোধনী ম্যাচে দর্শক খরা ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে আরেকবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে