পুলিশের গুলিতে এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভের পঞ্চম দিনে শনিবার সন্ধ্যাজুড়ে মার্সেই শহরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ফ্রান্সের দক্ষিণের শহরটি থেকে অন্তত ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মার্সেইয়ের কেন্দ্রস্থলে প্রধান পথ লা ক্যানেবিয়েরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ফ্রান্সজুড়ে প্রায় ১২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্যারিস থেকে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্যারিসে ভারী পুলিশ উপস্থিতি বিক্ষোভকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে হচ্ছে। প্যারিসে স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর সকল বাস ও ট্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে বিক্ষোভের প্রথম চারদিনে ২৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এরপর দেশজুড়ে প্রায় ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবুও বিক্ষোভ থামানো যায়নি। শুক্রবার এক রাতেই ১৩০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রান্সে চলমান বিক্ষোভের সূত্রপাত মঙ্গলবার থেকে। এদিন প্যারিসের এক তল্লাশিচৌকিতে নাহেল নামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এরপর থেকেই ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করে।
পুলিশের দাবি, নাহেল নামের ওই কিশোর নির্দেশনা না মেনে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করা হয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ২ কর্মকর্তা একটি গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছেন। এ সময় তাদের একজন গাড়ির জানালা দিয়ে চালকের দিকে অস্ত্র তাক করেন।
এ সময় চালক গাড়ি চালানো শুরু করলে খুব কাছ থেকে পুলিশের এক কর্মকর্তা তাকে গুলি করেন। এরপর কয়েক মিটার দূরে গিয়েই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
খুলনা গেজেট/এসজেড