খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

দীপুমনি-সালমান-আনিসুল-জিয়াউল ও ফিরোজ রিমাণ্ডে

গেজেট ডেস্ক

নিউমার্কেট ও লালবাগ থানার দুটি হত্যা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিমের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপরদিকে রাজধানীর বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে নিউমার্কেট এলাকায় দোকান-কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হককে ১০ দিনের এবং জিয়াউল আহসান ৮ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১৪ আগস্ট) তাদের দুইজনের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

এছাড়া রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরের দিন শুক্রবার (১৬ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান-কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে বাড্ডা থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিমের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে নির্বিচার গুলিবর্ষণে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় দীপু মনির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ১৯ আগস্ট রাজধানীর বাড়িধারা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই বাড্ডার প্রগতি সরণিতে গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার। এ ঘটনায় সুমনের মা মোসা. মাছুমা ২০ আগস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন।

অপরদিকে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও টানা ৮ বারের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ আওয়ামী লীগ নেতা ৮ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসন থেকে জয়ী হন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশেনে এক নম্বর প্যানেল স্পিকার হিসেবে দ্বায়িত্ব পান তিনি।

গত ১৯ জুলাই সময় ভাটারা এলাকায় সোহাগ মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা শাফায়াত হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ জুনের পর সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা আরোপ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করে সারাদেশের সর্ব স্তরের শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেয়। উক্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে সব আসামি যোগসাজস ও উস্কানীমূলক বক্তব্য এবং নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিধনের ঘোষণা দেন। এরই ফলশ্রুতিতে গত ১৯ জুলাই বিকেল ভাটারা থানার ১০০ ফিট রোডস্থ ফরাজী হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তার উপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারী নির্দেশনায়, পরিকল্পনায় এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে অবৈধ জনতাবন্ধে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নিরাপরাধ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্রে সাজ্জিত হয়ে গুলিবর্ষণ করলে আমার ছেলে সোহাগ মিয়া (১৬) এর বাম কানের মধ্যে লেগে মাথার পিছন দিয়ে গুলিটি বেড়িয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ করে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!