শিক্ষকদের পদোন্নতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবিতে ফের কর্মবিরতি শুরু করেছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) শিক্ষক সমিতির একাংশ। সোমবার থেকে তাদের কর্মবিরতি শুরু হয়। দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কয়েকজন বিভাগীয় প্রধানও পদত্যাগ করেছেন। এতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ফের অচবালস্থা শুরু হলো। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৬ জন স্বজন।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম, শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ, সাবেক উপাচার্যের ছেলে-মেয়ের চাকরিচ্যুতিসহ নানা কারণে সারাবছরই আলোচনায় ছিল। শিক্ষকদের পদোন্নতি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রদানের দাবিতে গত ১৬ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষক সমিতির প্রায় সব শিক্ষক। গত ৯ নভেম্বর তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন।
এরই মধ্যে গত ৬ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে উপাচার্যের স্বজনদের চাকরিচ্যুতিসহ ২৬ জন শিক্ষককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলমের বিষয়ে তদন্ত কমিটি এবং অপর শিক্ষক মেহেদী আলমকে অব্যাহতি দেয়। মন্ত্রণালয়ের অন্য সিদ্ধান্তগুলো অনুমোদন করে সিন্ডিকেট।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলম জানান, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। তারপরও শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। এর প্রতিবাদ সব শিক্ষক একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১০৬ জন শিক্ষক, ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৩১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ শিক্ষা এবং মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন প্রায় ২০ জন শিক্ষক। বাকিরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষক রোববার কর্মবিরতিতে সাড়া দেননি। মূলত সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হওয়ায় সাবেক উপাচার্যের অনুসারীরা শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, সিন্ডিকেট সভায় মন্ত্রণালয়ের ৪টি নির্দেশ অনুমোদন করেছে। সেই শর্তগুলো মানলে শিক্ষকরা পদোন্নতি পাবেন।
খুলনা গেজেট/এইচএইচ/ টিএ