খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ মাঘ, ১৪৩১ | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ভারত থেকে শেখ হাসিনার অবিরাম বিবৃতিতে কারণেই ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে, দাবি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
  প্রাথমিকে ৬৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল

ফের উৎপাদনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

গে‌জেট ডেস্ক

কয়লা সংকটে গত ৩০ জুলাই থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকা বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুকেন্দ্রে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ৪০০ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট উৎপাদন শুরুর সাত মাসের মধ্যে ছয়বার বন্ধ হয়েছে। এভাবে ঘন ঘন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের পর ফের চালু করতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেন্দ্রটির একটি ইউনিট গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি তা বন্ধ হয়ে যায়।

কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় এক মাসের মাথায় আবার চালু হয়ে ১৫ এপ্রিল ফের বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন।
তবে তিন দিনের ব্যবধানে আবারও উৎপাদনে ফেরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি এবারও। ২৩ এপ্রিল ফের বন্ধ।

এর পর বিভিন্ন সময়ে চালু হয়ে ফের কয়লা সংকট ও কারিগরি ত্রুটির কারণে ৩০ জুন, ১৬ জুলাই ও সর্বশেষ ৩০ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়।
কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি একবার বন্ধের পর পুনরায় চালু করতে টানা এক থেকে দেড় দিন সময় লেগে যায়। কেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে চালু না হওয়া পর্যন্ত জ্বালানি তেল ব্যবহার করা লাগে। কেন্দ্রটি একবার চালু করতে জ্বালানি তেল লাগে এক লাখ লিটার।

যার বাজারমূল্য কোটি টাকার বেশি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর কয়লার ব্যবহার শুরু হয়। এভাবে ঘন ঘন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের কারণে চালু করতেই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি)।
বিপিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ঢাকায় ও খুলনায় সরবরাহ করা হয়।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!