ফুলতলায় শিশু মোমিন সরদার (১ বছর ৭ মাস) কে গর্তের পানিতে চুবিয়ে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টা ঘটনায় মা, বাবা এবং নানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিজ বোন-ভগ্নিপতিকে ফাঁসাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে শিশুর মা। এ ঘটনায় রোববার (১৪ মে) নিহত শিশু মোমিন সরদারের নানা মোঃ আবুল খায়ের (৬২) বাদি হয়ে ফুলতলা থানায় ৩ ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা (১৩) করেন। আসামীরা হলেন শিশু মোমিনের মা সায়রা বেগম (২৯), পিতা মোঃ হারিছ সরদার ওরফে সোহেল (৩৫) এবং নানী মোছাঃ আমেনা বেগম (৪৫)।
প্রতিবেশী ও পুলিশ জানায়, আবুল খায়ের গোপালগঞ্জ গোপিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে তারা আলকা গ্রামের মোস্তফা কাজীর ভাড়াটিয়া। তার ৪/৫টি মেয়ে রয়েছে। এরমধ্যে সায়রা বেগমকে বিয়ে করেন মোঃ হারিছ সরদার ওরফে সোহেল । সোহেল শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। এক পর্যায়ে সোহেল সায়রার আরেক বোন ফাহিমা বেগম ওরফে ফারিয়া (১৫)কেও বিয়ে করে। পরবর্তীতে ফারিয়া সোহেলকে তালাক দিয়ে সুপার জুট মিলের শ্রমিক রাকিব (২৫) কে বিয়ে করে। পরে তাঁরা এখন ডুমুরিয়া এলাকায় বসবাস করছেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীরা রাকিব ও ফারিয়াকে ফাঁসাতে নিজ শিশু পুত্র মোমিনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হারিছ সরদারের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় সায়েরা ও আমেনা মোমিনকে নিয়ে আলকায় মিজান ভুইয়ার ভাটায় মাটিকাটা গর্তের পানিতে ফেলে হত্যা করে তার লাশ গুমের চেষ্টা করে। পরদিন সন্ধ্যায় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সায়রা বোন ও তার প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ পুত্র মোমিনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পুলিশ তাদের খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নাজমুল কবীরের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য প্রেরণ করে। আদালতে সায়রা বেগম ও আমেনা বেগমের জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
খুলনা গেজেট/কেডি