খুলনা ফুলতলায় আলোচিত এম এম কলেজ ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কাজী শাহরিয়ার আহমেদ প্রান্ত (২০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে ছুরিকাঘাতে রোহান অচেতন হয়ে পড়লে তার পকেট থেকে হাওয়াই মোবাইল সেট তুলে নেওয়া হয়। ওই মোবাইল সেট থেকে রোহানের সিম ফেলে দিয়ে প্রান্ত তার মায়ের সিম ব্যবহার করে। সিআইডি পুলিশ রোহানের ওই মোবাইল সেটটি উদ্ধার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি খুলনার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুলের সামনে মোশারফ মোল্যার বাড়ি থেকে কাজী শাহরিয়ার আহমেদ প্রান্তকে আটক করা হয়। সে পায়গ্রাম কসবা গ্রামের কাজী সাকির হোসেনের পুত্র। মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের খাস কামরায় নেয়া হয়। প্রান্ত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলবদ্ধ হয়ে তারা ফুলতলা এম এম কলেজে প্রবেশ করে। তাদের ছুরিকাঘাতে রোহান অচেতন হয়ে পড়লে তার পকেট থেকে হাওয়াই মোবাইল সেট তুলে নেওয়া হয়। পরে ওই সেট থেকে রোহানের সিম খুলে ফেলে দিয়ে প্রান্ত তার মা রিতা সুলতানার নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত সিম (নং-০১৮৩২-২০৩৯৭৬) ঢুকিয়ে সেটি ব্যবহার করতে থাকে। তাকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ওই সেটটি উদ্ধার হয়। বিজ্ঞ আদালত প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আলোচিত রোহান হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামী সুদিপ্ত সাহা, সাব্বির ফারাজি এবং তাছিন মোড়লের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই ঘটনায় জড়িতদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ পায়। তারই সুত্র ধরে সিআইডি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ঘটনায় সরাসরি জড়িত প্রান্তকে আটক ও মোবাইল সেট উদ্ধার করতে সক্ষম হন। অন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গত ৩১ মার্চ ফুলতলা এম এম কলেজ ক্যাম্পাসে দিনে দুপুরে ছুরিকাঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করে সৈয়দ আলিফ রোহানকে।
খুলনা গেজেট/ টি আই