খুলনার ফুলতলা উপজেলার তিনটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে গণসিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ওই ভোটগুলো বাতিল করেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এ টি এম শামীম মাহমুদ বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ফুলতলা উপজেলার শিরোমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে (পশ্চিম পাশের ২ তলা ভবন) একজন মহিলা একটি বুথে প্রবেশ করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নেন। তিনি ৩৩টি ব্যালট পেপারে সিল মারেন। পরে আইন শৃংখলা বাহিনী তাকে আটক করে।
ফুলতলা উপজেলার আনন্দ নিকেতন মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্রে একটি কক্ষে কয়েকজন যুবক ১৯টি ব্যালট পেপারে সিল মারে। যার মধ্যে ৫টি ব্যালট বক্সে ঢুকিয়ে দেয় এবং ১৪টি ব্যালট বক্সে ঢুকাতে পারেনি।
একই ঘটনা ঘটেছে শিরোমণি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পশ্চিম পাশের ২ তলা ভবন কেন্দ্রে। কয়েকজন যুবক ভোট কক্ষে প্রবেশ করে ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়। তারা ৫১টি ব্যালট পেপারে সিল মারে। যার মধ্যে ১০টি ব্যালট বক্সে ঢুকিয়ে দেয় এবং ৪১টি ব্যালট বাইরে পড়ে ছিল। অন্য একটি কক্ষে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী ৫৭টি ব্যালট পেপারে সিল মারে যার যার ১টিও ব্যালট বাক্সে ঢুকাতে পারে নাই।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এ টি এম শামীম মাহমুদ বলেন, শিরোমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিল মারা ৩৩টি ব্যালট পেপারের একটি বাক্সে ঢোকানো হয়নি। অন্যান্য ভোট কেন্দ্রেও গণসিল মারা ব্যালটগুলো প্রিজাইডিং অফিসাররা বাতিল করেছেন।
যে ব্যালটগুলো বাক্সে ঢোকানো হয়েছিল, সেগুলোর পেছনে সিল ছিল না। গণনার সময় সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্য সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কোন প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত তা তিনি জানাতে পারেননি।
খুলনা গেজেট/এএজে/ হিমালয়