আক্রমণই অস্কার ব্রুজোনের ধ্যানজ্ঞান। তার ফলই তো পেয়েছে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই ম্যাচে। শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারানোর পর ভারতের কাছে পিছিয়ে পড়েও গোল করে ১-১ এর ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা হবে ঘোষণা দিলেন স্প্যানিশ কোচ।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মালের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের টিভি চ্যানেল টি স্পোর্টস। বাংলাদেশ দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে যখন উড়ছে, তখন মালদ্বীপ নেপালের কাছে প্রথম ম্যাচে শেষ মুহূর্তের একমাত্র গোলে হেরে জয়ের জন্য মরিয়া। ভারতের মতোই ফেবারিট হয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু র্যাংকিংয়ের নিচের দিকে থাকা নেপালের কাছে হারে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে তারা। আরেকটি হার সাফ থেকে তাদের বিদায় করে দিতে পারে। পাঁচ দল একে অন্যের মুখোমুখি হবে, শীর্ষে থাকা দুটি দল খেলবে ফাইনালে।
এই হিসাবে নেপাল ও বাংলাদেশ ফাইনালের পথে এগিয়ে। নেপাল দ্বিতীয় ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শতভাগ সাফল্যে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে। শেষ ম্যাচে এই দলটির মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে তাদের টপকে যাওয়ার সুযোগ ব্রুজোনের শিষ্যদের। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া স্বাগতিকদের বিপক্ষে জিততে আত্মবিশ্বাসী।
বুধবার ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি মালদ্বীপের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা কিন্তু মালদ্বীপকে নিয়ে চিন্তা করছি না তেমন একটা, আমরা কেবল আমাদের দল নিয়েই ভাবছি।’
স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা কঠিন হবে বললেন জামাল, ‘এটা মালদ্বীপের হোম ম্যাচ। তারা স্থানীয় দর্শকদের কাছ থেকে সমর্থন পাবে। তাতেও আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা কেবল ম্যাচ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা করছি।’
বাংলাদেশ এই ম্যাচে দুই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না, বিশ্বনাথ ও রাকিব হোসেন। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বনাথ লাল কার্ড দেখেন। আর উইঙ্গার রাকিব দুই ম্যাচে একটি করে হলুদ কার্ড পেয়েছেন।
মালদ্বীপের বিপক্ষেও আক্রমণাত্মক ফুটবলের ইঙ্গিত দিলেন ব্রুজোন, ‘মালদ্বীপ আক্রমণাত্মক খেলা পছন্দ করে, আমিও। বাংলাদেশ নিচের দিকে ডিফেন্ডিং করতে অভ্যস্ত। কিন্তু এবার তারা উন্মুক্ত, সুন্দর ফুটবলের খোঁজে আমরা। এটা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে।’
মালদ্বীপ কোচ আলী সুজাইন জয়ের জন্য মরিয়া। ম্যাচটি তাদের জন্য যে বাঁচা-মরার জানেন তিনি। কিন্তু প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা নিয়ে সতর্ক তিনি, ‘বাংলাদেশের আক্রমণ ভিন্ন। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে তারা কাউন্টার অ্যাটাকে খেলার চেষ্টা করেছে। তাদের গতি অসাধারণ। তাদের সেট পিচ নিয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
মালদ্বীপ আরেক দিন থেকে এগিয়ে। নেপাল ম্যাচের পর পাঁচ দিন বিশ্রাম পেয়েছে তারা। আর বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র দুই দিনের বিরতি। এই সুবিধাটা নিশ্চয় নিতে চাইবে মালদ্বীপ। তবে বাংলাদেশ যে উড়ছে, তাদের সামাল দেওয়া কঠিন যে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খুলনা গেজেট/এনএম