রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের চিরাচরিত খাদ্যাভ্যাস বদলে যাচ্ছে। দানাজাতীয় খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে ফল, শাকসবজি গ্রহণের আগ্রহ বাড়ছে অনেকের মধ্যে। আমি আশা করি, এই ইতিবাচক পরিবর্তন চলমান রাখতে এবং দেশে উৎপাদিত ফল সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সম্যক ধারণা দিতে ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। এবারের জাতীয় ফল মেলার প্রতিপাদ্য ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’।
আবদুল হামিদ বলেন, দেশে প্রতি বছর ফলের উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারায় অষ্টম এবং পেঁপে উৎপাদনে চতুর্দশতম স্থানে রয়েছে। বাজারে বছরব্যাপী মৌসুমি ফলের সরবরাহ জাতীয়ভাবে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে ফল চাষের জমি বৃদ্ধি, ফলের বাণিজ্যিক বাগান সৃজন, বসতবাড়িতে ফলগাছ রোপণ, উন্নত জাতের ফল উৎপাদনে গবেষণা ও ফল সংগ্রহোত্তর প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকারের বহুমাত্রিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় কৃষিখাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সরকার সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ, জনগণের পুষ্টি অর্জনে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের চাহিদা পূরণসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ফল ও ফলদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ও বারোমাসী ফল স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিমানের বিচারে তুলনাহীন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৬ থেকে ১৮ জুন সারা দেশে তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’ আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।