বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার সংঘর্ষের দিন আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক করে পুলিশ, যাদের পরবর্তী সময়ে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শনিবার ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের এক দিন আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে পরিবার। শুক্রবার তাদের আটকের কথা জানান ডিএমপি ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ।
এমন বাস্তবতায় পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, সভা-সমাবেশ মিছিলে বাধাদান করে সরকার নাগরিক অধিকার হরণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী মত দমনের পথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও একজন নিহতের ঘটনায় দায়ীদের বিচার, মির্জা ফখরুলসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের মুক্তি, নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দিবস পালনের কর্মসূচিও ঘোষণা করে বাম জোট।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ও বাম জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘সভা-সমাবেশ-মিছিলে বাধাদান করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্রমাগত হরণ করে চলেছে। সরকারের দুঃশাসন ও লুটপাটের কারণে জাতীয় ও জনজীবনে সংকট সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। দেশের অর্থনীতির ভঙ্গুর চিত্র প্রতিদিনের সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ পাচ্ছে।
‘সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক ডাকাতেরা ঋণ নিয়ে ফেরত না দিয়ে বিদেশে পাচার করে ব্যাংকগুলো ফোকলা করে ফেলেছে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম দফায় দফায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলেছে। আর গণতন্ত্রহীনতা ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে বিদেশি শক্তি ও দেশের অভ্যন্তরের অন্ধকারের শক্তিও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার, বাসদ-মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ অনেকে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড