বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।হামলাকারীদের মারপিটে ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল আলম ফকিরসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার(২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফকিরহাট উপজেলা সদরের ডাকবাংলা এলাকায় বিএনপি ‘র কার্যালয়ে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উপজেলা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ-বিএনপি’র।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল আলম ফকির, বিএনপি নেতা খান সিরাজুল ইসলাম, খান লিয়াকাত হোসেন ও মিজানুর রহমান ছাত্রদল নেতা মিরাজ । এদের মধ্যে ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল আলম ফকির ও বিএনপি নেতা খান সিরাজুল ইসলামকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক কামরুল ইসলাম গোড়া বলেন, বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে নলদা মৌভোগ ও পীলজংগ ইউনিয়নের বর্ধিত সভা ছিল। বর্ধিত সভার শেষে সন্ধ্যায় নেতাকর্মীরা অফিসে বসে আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ করে শ্রমিকলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আমাদের অফিসে অতর্কিত হামলা করে। তাদের মারপিটে ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল আলম ফকির সহ ৭ জন আহত হয়েছেন।
বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে ফকিরহাট উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাহিরদিয়া এলাকায় দলীয় সভা ছিল। সন্ধ্যায় আমি সেখানেই ছিলাম। শুনেছি শ্রমিক লীগের কিছু কর্মীর সাথে বিএনপি’র লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। মারধরের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলিমুজ্জামান বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত কিছু জানিনা।
খুলনা গেজেট/কেডি