আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে অভয়নগরের প্রেমবাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দৌড় ঝাঁপ বেড়েছে। পাশাপাশি গণসংযোগে মুখোরিত এ অঞ্চলের জনপদ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর যশোরের অভয়নগর উপজেলার ১ নং প্রেমবাগ ইউনিয়নের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোট এবং বিএনপির সম্ভাব্য ডজন খানেক চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই প্রেমবাগ ইউনিযনের সর্বত্র এলাকায় লোকবল নিয়ে গণসংযোগ করছেন।
এর মধ্যে ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রভাবশালী ৮ জন প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান সহ ৩ জন ও জাতীয় পার্টি থেকে ১ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যান্যার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা প্রেমবাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকার বাড়ী বাড়ী যেয়ে ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন। দিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের আশ্বাস। পাশাপাশি দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের জন্য দলীয় সমর্থন আদায়েরও জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
অত্র ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ হাজারের মধ্যে ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি। ভোটারদের সাথে পরিচিতি হতে একেবারেই নতুন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীরা কুশল বিনিময় ও দোয়া কামনা করছেন। তারা তাদের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি নানা কৌশলে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনও সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন যাদের অনেকেরই বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অনিয়ম, দূর্ণীতি, কাবিখা, টিআর, বয়ষ্ক ভাতা, ভিজিএফ কার্ড বিতরনে দলীয় আত্নীয় করন সহ নানা অভিযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইউনিয়ন বাসীদের মধ্যে অনেকেই।
তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে এরই মধ্যে যারা মাঠে নেমে পড়েছেন ও মিটিং সিটিং করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলে ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রেমবাগ ইউনিয়ন আ;লীগের সভাপতি সরদার বাবুল আক্তার বাবু, সাবেক সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হাকিম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্ল্যা সাঈদ আলম বাচ্চু, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি প্রভাষক নাসির উদ্দিন, সদস্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য মো. হাফিজুর রহমান (সার: অব:) বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক মফিজউদ্দিন, বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান এসএম সিরাজুল ইসলাম মান্নু, প্রেমবাগ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: রেজাউল ইসলাম রেজা, তরুন নেত মো. শাহীন বিশ্বাস, জাতীয় পার্টির প্রেমবাগ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক এম ফরিদুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কথা হয় সম্ভ্যাব্য প্রার্থী প্রেমবাগ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সরদার বাবুল আক্তার বাবু, সাবেক সভাপতি সৈয়দ আ: হাকিম ও প্রভাষক মফিজউদ্দিনের সাথে তারা জানান, যেহেতু দল এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সেহেতু শিক্ষিত সৎ, যোগ্য প্রার্থী দিতে সংগঠন ভুল করবে না। তারা সকলেই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন দল যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে যাকে মনোনয়ন দিবে তিনি আগামী ইউপি নির্বাচনে জয়ী হবেন। এছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের এ সকল প্রার্থীর কোন চাওয়া পাওয়া নেই বলে জানান। তাদের মধ্যে যে কেউ দলীয় প্রার্থী হলে অবশ্যই প্রেমবাগ ইউনিয়ন বাসীর সমর্থন পেয়ে জয় ছিনিয়ে এনে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন বলে সকলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অন্যদিক ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান এসএম সিরাজুল ইসলাম মান্নু ইতোমধ্যেই তার অবস্থান ও বিগত দিনের সকল উন্নয়ণ মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে গণসংযোগ অব্যহত রেখেছেন।
প্রেমবাগ ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, আমাকে দল মনোনয়ন দিলে আমি নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হব।
ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সেক্রেটারী এম ফরিদুল ইসলাম জানান, জনগণের সমর্থন পেয়েছি দল মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হতে সক্ষম হব।
মহাজোটের প্রভাবশালী নেতা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিকর সম্পাদক মোল্যা সাঈদ আলম বাচ্চুর দাবি দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি আগামী ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক মফিজউদ্দিন ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হাকিম বলেন, দল যাকে মনোনয়ন ও উপযুক্ত বলে মনে করবে তাকে মনোনয়ন দিলে আমরা তার জন্য লড়ে যাবো।
একই কথা বলেন, ইউনিয়ন আ’লীগর সভাপতি সরদার বাবুল আক্তার বাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম মিলন সহ ইউনিয়নের আ’লীগের অন্য প্রার্থীরা। এবার ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবে তাদের প্রত্যেকেরই দাবী দল আর যাই করুক যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে ভুল করবে না।
খুলনা গেজেট/ এস আই