দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের নিজের ভোট দিতে পারছেন না। রংপুর-৩ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও তিনি ভোটার হয়েছেন ঢাকার। তবে ভোট দিতে না পারলেও তিনি নির্বাচনের দিন নিজ আসনের ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি ও সারা দেশের ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি জানান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ভোটগ্রহণের দিন রংপুরে অবস্থান করবেন। তিনি সকাল ৯টার মধ্যেই বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। রংপুরে থেকেই সারা দেশের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং দেশের ভোটের সার্বিক খোঁজখবর রাখবেন।
জাপা সূত্রে জানা যায়, জিএম কাদের জন্মসূত্রে রংপুরের বাসিন্দা। এইচএসসি পর্যন্ত রংপুরেই পড়ালেখা করেছেন তিনি। মেকানিক্যাল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পর নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে মেকানিক্যাল প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ টোবাকো কোম্পানি, ইরাকের কৃষি মন্ত্রণালয় ও যমুনা তেল কোম্পানিতে চাকরি করেন। সবশেষ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে পরিকল্পনা ও অপারেশনস পরিচালক থাকাকালীন চাকরি থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যুক্ত হন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের এবার রংপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পেশায় তিনি একজন রাজনীতিবিদ। তিনি পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে একবার পরাজিত হন। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি ওই আসন থেকে জয়ী হতে পারেননি। রংপুর-৩ আসন থেকে তিনি ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জি এম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর-৩ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন, আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার মাত্র দুইজন। ১৭৫টি কেন্দ্রে এবং ১ হাজার ১৬টি ভোটকক্ষে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে