সাতক্ষীরা থেকে এবার প্রাথমিক বৃত্তি পেয়েছে ৯৯৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪১৫জন ট্যালেন্টপুলে ও ৫৮৩জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। তবে, বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়েছে পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার পূর্ব কামালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৭ রোল নাম্বারধারী জিসান আহমেদ।
জিসান আহমেদ আশাশুনি উপজেলার পূর্ব কামালকাটি গ্রামের মো: জাকির হোসেনের ছেলে ও ১৫০ নং পূর্ব কামালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় আশাশুনি উপজেলা থেকে ট্যালেন্টপুলে ৫৭ জন ও সাধারণ গ্রেডে ৬৭ জন বৃত্তি পেয়েছে। কলারোয়া উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ৫৬ জন ও সাধারণ গ্রেডে ১২৭ জন, শ্যামনগরে ট্যালেন্টপুলে ৬৩ জন ও সাধারণ গ্রেডে ৭৩ জন, সাতক্ষীরা সদরে ট্যালেন্টপুলে ৯৬জন ও সাধারণ গ্রেডে ১৩৯জন, কালিগঞ্জে ট্যালেন্টপুলে ৫৫জন ও সাধারন গ্রেডে ৭৩জন, তালায় ট্যালেন্টপুলে ৬২ জন ও সাধারণ গ্রেডে ৭৩ জন এবং দেবহাটা উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ২৬ জন ও সাধারণ গ্রেডে ৩১ জান বৃত্তি পেয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন কারিমি বলেন, জেলার ৯৯৮ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পেয়েছে। এবারের ফলাফলে কোন ত্রুুটি থাকার সুযোগ নেই।
প্রথমে প্রকাশিত ফলাফলে আশাশুনির এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সফটওয়্যারগত ছিল।
প্রসঙ্গতঃ মঙ্গলবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল গোষনা করা হয়। এসময় দেখা যায় আশাশুনি উপজেলা থেকে ট্যালেন্টপুলে ৫৭ জন ও সাধারণ গ্রেডে ৬৭ জন বৃত্তি পেয়েছে। ফলাফলের তালিকায় জিসান আহমেদ, যার রোল নং-৭৭ তাকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে বলে দেখানো হয়। কিন্তু বৃত্তি পরীক্ষার চারটি পরীক্ষার মধ্যে সে দু’টি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। যদিও ফলাফল ঘোষনার চার ঘন্টার মধ্যেই ওই ফলাফল বাতিল করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড