যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নর্গিস বেগম বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। স্বতন্ত্র স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যে কারণে এই কমিশন একের পর এক প্রহসনের নির্বাচন করে যাচ্ছে। তাই নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোন প্রতিফলন ঘটে না।
তিনি বলেন, ২০ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন আবারও প্রমাণ করলো তারা সরকারের কতটা অজ্ঞাবহ। এই নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন না ঘটলেও সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষ ক্ষমতাসীন দলের কিশোর গ্যাং-এর তান্ডবে ভীত সশস্ত্র হয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা ভোট ডাকাতি করে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নেয়। আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
বুধবার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও পুন:নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, উপনির্বাচনের ধানের শীষের প্রার্থী নূর-উন-নবী, নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মীর নূর ইমাম, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদিকা রাশিদা রহমান, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল কুমার বিট, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল।
খুলনা গেজেট/এনএম