ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকেই টেস্ট দলের বাইরে আছেন ইমরুল কায়েস। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে টেস্ট দলে জায়গা হারিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। স্থগিত হওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডেও তাদের থাকা নিয়ে ছিল শঙ্কা। অথচ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচের প্রথম দিন রান পেয়েছেন দুজনই। ৬০ রান করে আউট হয়েছেন ইমরুল, মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৮০ রান।
ম্যাচের শুরুতে দিনের প্রথম ঘন্টাতেই সাইফ হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে বিদায় করেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় স্লিপে তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফ, দলীয় ৩২ রানে দ্বিতীয় স্লিপে ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত।
এরপর ওটিস গিবসন একাদশের হাল ধরেন ইমরুল এবং মাহমুদউল্লাহ। মাঝে এক ঘন্টা বৃষ্টির পেতে গেলেও ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুজন। প্রতিপক্ষের বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষায় ফেলতে সক্ষম হয়েছেন দুজনই।
গ্রান্ড স্ট্যান্ডের পাশে ছিলেন নির্বাচকরা, আর বাউন্ডারির বাইরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ দেখছিলেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সবার নজর ছিল দুজনের ওপরেই। দুজনই টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে গেছেন।মাহমুদউল্লাহ মিড অন-মিড অফ অঞ্চলেই বেশী শট খেলার চেষ্টায় ছিলেন।
ইমরুলও সাবধানী ব্যাটিং করে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তাইজুলকে সরে গিয়ে বাউন্ডারি মেরে ১০১ বলে মাহমুদউল্লাহও পৌঁছে যান মাইলফলকে। তবে ১১২ রানে তাসকিনকে পুল করতে গিয়ে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন ইমরুল। ৬০ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
এরপর লিটনের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১৫৯ রানে সাইফউদ্দিনের স্লোয়ার ডেলিভারিকে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে ৫৬ রান করে বিদায় নেন তিনিও। সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ২০০ পার করান লিটন। হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ৪৪ রানে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেনে এই ব্যাটসম্যান।
খানিক পর তাইজুলকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সৌম্য। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। শেষ বিকালে আবারও বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। এবাদত এবং নাঈমকে বোল্ড করেন এই স্পিনার।
প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৭২ ওভার। দিন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৪৮ রান সংগ্রহ করে ওটিস গিবসন একাদশ। ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক। তাসকিন ৪৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এএমআর