খুলনার প্রবীণ সাংবাদিক কাজী আমানউল্লাহ্’র চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল, ২২ আগস্ট। শতভাগ পেশাদার এ প্রথিতযশা সাংবাদিক আশি বছর বয়সে ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। সাংবাদিকতা পেশায় আসার আগে কাজী আমানুল্লাহ ছাত্র ইউনিয়ন ও ন্যাপ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশায় আসার পর তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেন। পারিবারিক জীবনে অচ্ছলতা থাকলেও সাংবাদিক কাজী আমানুল্লাহ্ ছিলেন সৎ, কর্মঠ, পরিশ্রমী সৃজনশীল। তিনি খুলনা প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য এবং মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সিনিয়র সদস্য ছিলেন।
কাজী আমানুল্লাহ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা ছিলেন সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক। আমানুল্লাহর বড় চাচা কাজী আনোয়ারুল হক পাকিস্তান সরকারের প্রথম বাঙালি কেবিনেট সচিব এবং স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অর্থ উপদেষ্টা ছিলেন বলে জীবদ্দশায় নিজেই এপ্রতিবেদকের সাথে একাধিকবার বলেছিলেন।
কাজী আমানুল্লাহ ষাটের দশকে খুলনা থেকে প্রকাশিত ওয়েব ও লিবার্টি পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে ১৯৭৪ সালে তিনি মাওলানা ভাসানীর সাপ্তাহিক ‘হক কথা’র খুলনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। এর কয়েক বছর পর খুলনা থেকে ডেইলি ট্রিবিউন পত্রিকা প্রকাশিত হলে তিনি সেখানে বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ট্রিবিউনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি সানডে নিউজ, ইউএনবি, ডেইলি স্টার পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছিলেন। সর্বশেষ তিনি নিউএজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে খুলনা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ইংরেজি অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন