পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
তারা মনে করছেন, উপকূলের আরও কাছাকাছি এসে ভূমিতে উঠে আসার আগে শক্তি সঞ্চয় করে আগামীকাল ঝড়টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে।
আজ শনিবার সকালে একাধিক আবহাওয়াবিদ তাদের এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, এদিন সকাল ৯টায় গভীর নিম্নচাপটি পায়রা সমুদ্র বন্দরের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করছিল।
তিনি বলেন, ‘পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে গভীর নিম্নচাপ ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।’
গভীর নিম্নচাপটি ঘণ্টায় আট থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। নামটি প্রস্তাব করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ ‘বালি’।
আবহাওয়াবিদরা বলেন, আজ সকালেই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে অনেক সময় সাগরে ‘গভীর নিম্নচাপ’ অবস্থা দীর্ঘায়িত হয়। এ ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আজ দুপুরের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, রেমাল খেপুপাড়া-সুন্দরবন ও পশ্চিমবঙ্গমুখী হবে।
আবহাওয়াবিদরা আরও বলেন, সাধারণত গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্র ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে থাকে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর গতি বেড়ে যায়। কখনো কখনো অনেক বেড়ে যায়, যেমনটি দেখা গিয়েছিল ছিত্রাংয়ের ক্ষেত্রে।
এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু করবে।
চুয়াডাঙ্গায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। পূর্বাভাস বলছে, আজ রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি এবং আগামীকাল দিন ও রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
ইতোমধ্যে কিছু মেঘ ভেসে আসতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় রোববার দিবাগত রাত থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা।
খুলনা গেজেট/এনএম