খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে বিশাল জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিএনপি’র কতিপয় নেতা যে মিথ্যা, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন তার প্রতিবাদে ও খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করায় সর্বস্তরের জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ।
বুধবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৩ নভেম্বর খুলনায় বিভাগীয় মহাসমাবেশে বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে এতদাঞ্চলসহ দেশের বৈপ্লবিক উন্নয়নের যে তথ্য তুলে ধরেছেন- তা অস্বীকার করে বিএনপি’র স্থানীয় কতিপয় নেতা পত্রিকায় যে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ দেখে ও শেখ হাসিনার গঠনমূলক বক্তব্য ও তাঁর জনপ্রিয়তায় দিশেহারা হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খুলনার বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামসহ বিবৃতিটি দিয়েছেন এককালের চরমপন্থী দলের নেতা বহু মামলার জেলখাটা আসামী খুলনাঞ্চলের সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত খুলনা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব নামধারী এস এম মনিরুল ইসলাম বাপ্পি। মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ধৃষ্টতাপূর্ণ ও উদ্দেশ্যমূলক এ বিবৃতিটি প্রত্যাহার করে অবিলম্বে বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সমগ্র দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা আজ শুধু দেশবাসী নয়, সমগ্র বিশ্ববাসী তার প্রশংসা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। দেশের সকল খাতে বিশেষ করে বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, অবকাঠামো, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে তাঁর নেতৃত্বে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে-তাতে দেশে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। রেলসহ পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-কক্সবাজার রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা-বেনাপোল রেল সংযোগ, কক্সবাজার আইকোনিক রেল স্টেশনসহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হযরত শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক ৩য় টার্মিনাল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল ও পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মহেষখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণসহ সারাদেশে অসংখ্য সেতু ও সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি নতুন করে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে বর্তমান সরকার। বিদ্যুৎ-এর মহাসংকট থেকে উত্তোরণ ঘটিয়ে দেশব্যাপী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসী এর স্বীকৃতি দিলেও বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তা মেনে নিতে পারছে না। দেশের এ অগ্রগতি দেখে তাদের মনে অনেক জ্বালা ধরেছে। দেশের মানুষ জানে, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সুদীর্ঘ সংগ্রামী ইতিহাস রয়েছে, রয়েছে গৌরবময় অতীত। অন্যদিকে বিএনপি’র জন্মই হয়েছে ক্যান্টমেন্টে অবৈধ পথে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়ে এ দলটি গঠন করা হয়। বর্তমানে এ দলটি গণধিকৃত সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। কানাডার আদালত দু’বার এ দলটিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে-যা বিশ্ববাসী জানে। তাদের শাসনামল ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলন্ঠিত করা এবং স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা।
এছাড়া বিএনপি তাদের শাসনামলে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন করতে না পারলেও দেশের সম্পদ লুটপাট করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ‘হাওয়া ভবন’-এর মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তাদের বর্তমান কর্মকান্ড এবং সন্ত্রাসী রাজনীতির কারণে দলটি বর্তমানে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ দলটি দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগেও তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা করেছিল- তা দেশবাসী আজও ভোলেনি। তাই, আজ তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে বিএনপি সরকারের সময়ে খুলনা তথা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কোন উন্নয়নই হয়নি। বরং তারা ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি একে একে বন্ধ করে দিয়েছিল। শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা তার মধ্যে অন্যতম।
বিবৃতিতে তারা খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু ও খান জাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণের বিষয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতারণামূলক। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে- বিএনপি সরকার এ অঞ্চলের মানুষের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ না করেই এ দু’টি প্রকল্পের লোক দেখানো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২০০১ সালের ৩০শে মে রূপসা তথা খান জাহান আলী সেতুর নির্মাণ কাজের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী জনন্ত্রেী শেখ হাসিনা। সেতুটি নির্মাণের সম্পুর্ণ কৃতিত্ব শেখ হাসিনা সরকারের-এতে বিএনপি’র কোন কৃতিত্ব নেই। খান জাহান আলী বিমান বন্দরের প্রাথমিক কার্যক্রমও বর্তমান সরকার শুরু করে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তরের জন্য ২য় দফায় ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়- যার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। খুলনায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পের কার্যক্রমও চলছে।
করোনা মহামারী পরবর্তী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও মূল্যস্ফিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দ্রব্যমূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সরকার সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য টিসিবি’র মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রযোজীয় পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। সরকারের এ প্রচেষ্টার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। এছাড়া সরকারের দূরদর্শী প্রচেষ্টার কারণে এ দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিএনপি’র বিবৃতিতে খুলনার পাটকল ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী বন্ধের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং শেখ হাসিনার সরকার বিএনপি কর্তৃক বন্ধকৃত পাটকল পুনরায় চালু করেছিল। ২০১১ সালের ৫ই মে পিপলস্্ ও দৌলতপুর জুট মিল চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অব্যাহত লোকসানের কারণে (প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) সরকার শ্রমিক আইন অনুযায়ী সকল শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করেছে। বিএনপি’র সময়ে নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকার নিউজপ্রিন্ট মিলের অভ্যন্তরে ৫০ একর জমির ওপর ৮শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে- যার কাজ প্রায় শেষের পথে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলাকে অচল ও পরিত্যক্ত করে দিয়েছিল। ফলে মোংলা বন্দরের সাথে জড়িত অসংখ্য শ্রমিক-কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা সরকার গঠন করার পর মোংলা বন্দর সচল করার পাশাপাশি ‘ইপিজেড’ নির্মাণ করেন এবং বন্দর ও ইপিজেড’কে কেন্দ্র করে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
তাদের বিবৃতির শুরুতে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে ‘নিশি রাতের ভোট ডাকাত অবৈধ সরকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সম্পর্কে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে- যা মেনে নেয়া যায় না। ভোট ডাকাত কারা তা দেশবাসী জানে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনে তারা নিজেদেরকে ক্ষমতার জোরে জয়ী ঘোষণা করে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু তারা তীব্র জনরোষের কারণে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি।
এছাড়া জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে যেভাবে প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছিল- তা দেশবাসীর অজানা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান কোন অবস্থাতে স্বাধীনতার ঘোষক নন। তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জড়িত ও অন্যতম কুশিলব। অসংখ্য দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাসিতে ঝুলিয়েছিলেন। তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ’৭৫এর পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও জয়বাংলা শ্লোগান নিষিদ্ধ করতেন না। ‘বাংলাদেশ বেতারে’র নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তানি চেতনায় ‘রেডিও বাংলাদেশ’ নামকরণ করতেন না।
বিবৃতিতে তারা অগ্নিসন্ত্রাসীদের ‘ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার যোদ্ধা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। যারা গাড়ি পুড়িয়ে, পুলিশ হত্যা করে, সাংবাদিকদের আক্রমণ করে, এমনকি প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে- তারা কি করে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার যোদ্ধা হয়- এটাই জনগণের প্রশ্ন। যে সব সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে এবং পড়ছে তারা বিএনপি ও জামায়াত-শিবীরের রাজনীতির সাথে জড়িত-এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলার একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা ও করুণার কারণে তিনি কারাগারে না থেকে বাড়িতে আরাম-আয়েশে আছেন এবং তাঁকে সবরকম সুযোগ-সুবিধাসহ সর্বোচ্চ সুচিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তাদের নেতা তারেক রহমান ‘জীবনে আর রাজনীতি করবেন না’ এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। অথচ তিনি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে দেশের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করে চলেছেন এবং নানা কলকাঠি নাড়িয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উস্কানী দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করছেন।
আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ সুযোগ দিচ্ছে বলে বিএনপি সভা-সমাবেশ করতে পারছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা খুবই সহনশীল ও মানবিক নেত্রী। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাস্তায় নামতে দেয়নি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট অনুমতি না পেয়ে ঢাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বক্তব্য রাখতে হয়েছিল এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও তারেক রহমানের নীল-নকশা অনুযায়ী গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা ভয়াবহ এ হামলা থেকে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কমপক্ষে ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত এবং ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। এখনো তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
তিনি বিএনপি’র নেতৃবৃন্দকে হুঁশিয়ার করে বলেন খুলনার জনগণ তাদের দেয়া মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। ক্ষমা চেয়ে এই উদ্দেশ্যমূলক বিবৃতি প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবো। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সম্পর্কে উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রাখলে তার দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে এবং জনগণকে সাথে নিয়ে যে কোন অপতৎপরতা প্রতিহত করা হবে। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণ স্বস্তি বোধ করে। সে কারণে তাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেয়া হলে তা সহ্য করা হবে না, সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
তিনি খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করায় সর্বস্তরের জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বি এম এ সালাম বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, কামরুজ্জামাল জামাল, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর করিব, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এম এ রিয়াজ কচি, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, কাজী জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ, এস এম আকিল উদ্দিন, রনজিত কুমারা ঘোষ, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, ইঞ্জিঃ মাহফুজুর রহমান সোহাগ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মো. ইমরান হোসেন সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/এনএম