খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ
  সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা গেছেন
  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার সব অস্ত্র লুট হয়েছে : এসএসএফ

গেজেট ডেস্ক

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই গণভবন, সংসদ ভবনসহ চারটি স্থাপনায় তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তায় থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সব অস্ত্র-সরঞ্জাম লুট হয়ে যায়। এসএসএফের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

এসএসএফ জানায়, লুট হয় মোট ৩২টি অস্ত্র। লুট হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেডের দাম প্রায় ২৩ লাখ টাকা। তবে সব মিলিয়ে সেদিন গণভবন ও সংসদ থেকে এসএসএফের লুট হওয়া এবং নষ্ট করা সম্পদের মূল্য ছিল পাঁচ কোটি টাকা।

এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের দিন গণভবনের প্রাচীর ও প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকেন অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা। তখন প্রাণরক্ষার জন্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে মাত্র ‘পাঁচ মিনিট’ সময় পেয়েছিলেন এসএসএফের সদস্যরা। ফলে কোনো অস্ত্র ও গুলি নিয়ে বের হতে পারেননি তারা। নিরাপত্তার জন্য সেগুলো ওই সব স্থাপনার ভল্টে রাখলেও ১০০ কেজি ওজনের তিনটি ভল্ট লুট করে দুর্বৃত্তরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ আগস্ট জনতা সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে। গণভবনের এসএসএফের অপারেশন কক্ষে বিভিন্ন ধরনের ট্যাকটিক্যাল গিয়ার বা অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজসরঞ্জাম, বেতার যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদি স্থায়ীভাবে স্থাপন করা দুটি ভল্টে মজুত ছিল। একটি ভল্টে দুটি এসএমজি টি-৫৬ অস্ত্র আর অপর ভল্টে তাজা গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু হাতে সময় না থাকায় এসব ফেলে শুধু নিজেদের সঙ্গে থাকা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিভিন্নভাবে গণভবন থেকে সংসদ ভবনে গিয়ে প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেন তারা। গণ-অভ্যুত্থানকারী জনতা যখন সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে, তখন এসএসএফ সদস্যরা দ্রুত নিজেদের অস্ত্র ও পোশাক খুলে সংসদ ভবনের ভল্টে অস্ত্র রেখে সাধারণ পোশাকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে প্রাণরক্ষা করেন। পরবর্তী সময়ে গণভবন ও সংসদ ভবনে থাকা ভল্টগুলো আর পাওয়া যায়নি, যা আন্দোলনকারী বেশে দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে গেছে বলে মনে করছে এসএসএফ।

এসএসএফের ক্ষয়ক্ষতির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১টি জিপ ও কার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসবের ক্ষতি প্রায় ১৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া অপারেশনাল সরঞ্জাম যেমন অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি ড্রোন গান, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস। এসব সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আইটি ও গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, এ ছাড়া লুট হয় তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবহৃত জিনিস; যার আনুমানিক মূল্য ৭৪ লাখ টাকা। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসাব করে সংস্থাটি বলেছে, ৫ আগস্টের ঘটনায় এসএসএফের বিভিন্ন অস্ত্র ও দ্রব্য লুট ও ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!