দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানোর হুমকি-ধামকি দিয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করা যাবে বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এমন উক্তি থেকে প্রমাণিত হয়েছে তারা কতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ। বাড়াবাড়ি আমরা করছি না। বাড়াবাড়ি করছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকার। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে মানুষের যে সাংবিধানিক অধিকার সভা-সমাবেশ সেখানে হামলা চালাচ্ছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে গ্রেপ্তার করাচ্ছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণ জেগে উঠেছে, যেকোনও ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে। আমরা বিশ্বাস করি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।
সময় থাকতে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, না হলে পালানোরও সুযোগ পাবেন না।
বিএনপি তার সিদ্ধান্তে অটল ও অবিচল বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাব যেকোনও মূল্যে।
সরকার বিএনপিকে ভয় পেয়ে আবারও খালেদ জিয়াকে জেলে পাঠানোর কথা বলছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার শুধু বিএনপি নয়, গণ-জমায়েতে মানুষ দেখলেই ভয় পায়। কারণ জনগণ এবার জেগে উঠেছে। তারা কোনো কিছুতে পিছপা হবে না।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ও একইসঙ্গে মাসব্যাপী আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা আছে-এ কারণে কোনও সংঘর্ষ বা সহিংসতার আশঙ্কা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবার সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা সাংবিধানিক অধিকার। আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেকেই তাদের কর্মসূচি পালন করবে। সেক্ষেত্রে কোন প্রকার ব্যতিক্রম ঘটলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
এ সময় বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক আহত হওয়ার বিষয়ে দেওয়া বক্তব্যকে স্ববিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল।