আগামী বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন। এদিন টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন সকালে তাঁর নির্বাচনী এলাকার টুঙ্গিপাড়া ও বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী সড়ক পথে ঢাকা থেকে রওনা হবেন। টুঙ্গিপাড়া পৌছেই তিনি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে স্থানীয় নেতা-কর্মিদের সাথে বৈঠক করবেন। ওই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মিদের সাথে বৈঠক করবেন।
কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লগের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এবং তাঁর নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেল্লা নেতা-কর্মিদের সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন। এতে নেতাকর্মীরা অনেকটা উজ্জিবিত।
নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে বেশ উৎফুল্ল এবং তার নির্দেশনার জন্য অধির আগ্রহে বসে আছেন। যদিও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রধানমন্ত্রী এবার কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন না বলে দলীয় সূত্র দাবী করেছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসাবে পরিচিত গোপালগঞ্জ-০৩ নির্বাচনী এলাকা অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মি ও সাধারন ভোটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও উদ্দিপনা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কোটালীপড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মিদের সাথে বৈঠক করবেন।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, সাধারন সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় পেলেই টুঙ্গিপাড়ায় চলে আসেন। এবার ও তার ব্যতিক্রম নয়। এবার তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ নেবেন না। টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার নেতাকর্মিদের সাথে চা খাবেন, গল্প করবেন বলে জানান এই নেতা।
খুলনা গেজেট/ টিএ