তিন দিনের জন্য আন্দোলন বন্ধ ঘোষণা করেছে ‘সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন’। এ সময়ের মধ্যে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আবারও কর্মসূচিতে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থী সমন্বয়ক সুস্মিতা কর।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিংকন দত্ত, অন্তু রায়, সোহাগ অধিকারী, স্বর্পা রাণী দে, অর্থী দে প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে৷ সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও বলা হয়, অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়কে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য খুব দ্রুত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’ এবং বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান করা, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়নের দাবির বিষয়েও ইতিবাচক সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও বলেন, যদি ১৬ আগস্টের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্দোলন বিষয়ক পরবর্তী ঘোষণা দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ