ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ছুটির দিন ছিল আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। তাই মেলা শুরু হয়েছে বেলা ১০টা থেকেই। ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। ছুটি থাকায় আজ অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছেন। এসেছেন দল বেঁধে বন্ধুদের সাথে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আজ মেলায় তরুণ দর্শনার্থীদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। দর্শনার্থী আর পাঠকের পদচারণে পরিপূর্ণ মেলা প্রাঙ্গণে। তবে মেলায় ভিড় বাড়লেও বিক্রি ততোটা বাড়েনি।
ছুটির দিন হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকেই জমে উঠেছে একুশে বইমেলা। অধিকাংশ দর্শনার্থীই আজ এসেছেন শুধু সময়কাটাতে ও স্টলগুলো ঘুরে দেখতে। তারা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে ঘুরে ঘুরে দেখছেন মেলার প্রতিটি স্টল। মেলা ঘুরে কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেল এমনই কথা।
বিকেল ৫টায় মেলার প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় অনেক মানুষের ভিড়, বাহারি রঙে সাজানো স্টলগুলো। তবে, কোনো কোনো স্টল থেকে তখনো আসছিল ঠুক-ঠাক আওয়াজ, চলছিল সাজানোর কাজ। অন্যদিকে রাতভর বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও জমেছে পানি হয়েছে হালকা কাঁদা । ভোগান্তিতে পড়েছেন আগত দর্শনার্থী, পাঠক ও প্রকাশকরা।
মেলায় ঘুরতে আসা আইরিন জানাই, আমি আমার আম্মুর সাথে মেলায় ঘুরতে আসেছি , আম্মু আমাকে বই কিনে দিয়েছে। এটা আমার প্রথম বই মেলায় আসা। আমার খুব ভালো লাগছে।
তুহিন আহম্মেদ খুলনা গেজেটকে বলেন, আজ ছুটির দিন তাই বন্ধুদের সাথে মেলায় ঘুরতে আসলাম, আজ তেমন কোনো বই কেনার ইচ্ছা নেই।
পচ্ছন্দের বই খুঁজতে থাকা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সাইফুল মোল্যা বলেন, এবার মেলার পরিবেশ দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। আগে সব গোছাতে সপ্তাহখানেক লেগে যেতো, এবার দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই গোছানোর কাজ প্রায় শেষেরদিকে । সুন্দর পরিবেশ দেখে ভালো লাগছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
মেলা আয়োজক কমিটি জানায় প্রতিদিনের মতো আজকেও বিকালে আলোচনা সভা, সেমিনার, প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ, নতুন লেখকদের বইয়ের মোড়ক উম্মোচন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বইমেলা উপলক্ষ্যে শিশুদের জন্য থাকছে উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি, চিত্রাংকন, সঙ্গীত ও বইপাঠ প্রতিযোগিতা। এছাড়া বইমেলা উপলক্ষ্যে সকল বইয়ের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড়ে ক্রেতারা বই কিনতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে