খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

প্রত্যাশার চাপে নতুন সরকার

গেজেট ডেস্ক

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন উৎখাতের পর গঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। পূরণ করতে হবে কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এ অভিমত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সরকার গুরুত্ব দিলেও আরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কার্যত একদলীয় শাসনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাকস্বাধীনতা খর্ব, অপশাসন-দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, উচ্চ বেকারত্বে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভে সাধারণ মানুষের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল অভ্যুত্থানে। তাদের ক্ষোভ প্রশমন করতে হবে নতুন সরকারকে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বেহাল অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং বিপুল বিদেশি ঋণের চাপ মোকাবিলা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদবিষয়ক অস্পষ্টতা থাকায় অভ্যুত্থানে শরিক রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন চাইছে– তাও সামলাতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা

গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার দু’দিন পর থেকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন পর্যন্ত ১৯ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলেছে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার। পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর গুলিতে অন্তত চার শতাধিক আন্দোলনকারী এবং সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। পাল্টা জবাবে বহুসংখ্যক পুলিশের প্রাণ গেছে।
আওয়ামী লীগের টানা সাড়ে ১৫ বছরের সরকারের পতনের পর ঢাকার প্রায় সব থানা থেকে সরে যায় পুলিশ। দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় থানায় হয় হামলা। পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানি, গ্রেপ্তার, নির্যাতনে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে জনগণের। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ পালিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে হামলা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মন্দিরে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত আতঙ্কে ঢাকাসহ সারাদেশে রাতভর সাধারণ মানুষ সড়কে পাহারা দিচ্ছেন লাঠি হাতে।

পুলিশ ও জনগণের আস্থার সম্পর্ক একেবারেই ভেঙে গেছে– তা স্বীকার করে নিয়েছেন অতিরিক্তি পুলিশ মহাপরিদর্শক শাহাব উদ্দিন খান। তিনি সমকালকে বলেছেন, অতীতে ভুল হয়েছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। দায়িত্ব পালন এবং সেবার মাধ্যমে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছে পুলিশ বাহিনী। প্রতিদিনই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। জনগণ পুলিশের পাশে থাকলে শিগগির সব ঠিক হয়ে যাবে। ঘুষ-দুর্নীতি ও সীমাহীন বলপ্রয়োগ নিয়ে যেসব কথা রয়েছে, সেগুলোর পুনরাবৃত্তি না হলে বাহিনীর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার কঠিন নয়।
আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোই সরকারের অগ্রাধিকার বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, বাহিনীগুলোর আত্মবিশ্বাস ফেরানো অগ্রাধিকার। এটা চরমভাবে কমে গেছে বলে মনে করি। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় প্রশাসন খুবই উদ্বিগ্ন। তবে কিছু বিষয় সামান্য অতিরঞ্জিত হয়েছে।

কীভাবে হবে রাষ্ট্র সংস্কার

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এক আইনজ্ঞ আভাস দিয়েছেন, নতুন সরকার সংবিধান বাতিল করতে পারে। অভ্যুত্থানকারী শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি তুলেছে। কিন্তু কীভাবে তা হবে– স্পষ্ট নয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় ছাত্রশক্তি নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এ সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, তারা সংবিধানের বদল চায়। তা সম্ভব না হলে, ব্যাপক সংশোধন করতে চায়। এ জন্য গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এর পর তা গণভোটে অনুমোদন করানো হবে। কিন্ত কেমন রাষ্ট্র সংস্কারের সংবিধান হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারেরও কথা বলছে। শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অপসারণের দাবি তুলেছে। সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার লাগবে। সরকারের প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার রীতি গড়তে হবে। কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠানকে যতই স্বাধীনতা দেওয়া হোক, ব্যক্তি যদি স্বাধীন না হয় তবে লাভ নেই।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠানকে প্রভাবমুক্ত করতে হবে। বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ পৃথকীকরণ এবং উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে আইন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সংসদের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ করতে হবে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দল সংস্কার প্রসঙ্গে এখনও নীরব রয়েছে।

জনপ্রত্যাশার চাপ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন বলেছেন, অভ্যুত্থানে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছিল। তাদের যে প্রত্যাশা, তা পূরণ করাই প্রধান চাপ হবে নতুন সরকারের জন্য। অপশাসন, দুর্নীতি রোধ করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে আন্দোলনকারী জনতাকে সন্তুষ্ট রাখতে। তবে এ কাজগুলো খুবই কঠিন।

নতুন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জনপ্রত্যাশা পূরণের। কীভাবে তা করবে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হবে সরকারে। কীভাবে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে, কাঠামো কী হবে, তা পরে ঠিক হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এখনও সড়কে রয়েছেন। নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাফিক। ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা চালাচ্ছেন সড়কে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাজিম খান সমকালকে বলেছেন, আগের সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়েছেন। জনগণকে মানুষ ভাবেননি। আমলা সেবা দেননি। পুলিশ ও ছাত্রলীগ নিপীড়ন করেছে। যাকে খুশি তুলে নিয়ে গেছে। নতুন সরকারকে এ অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতি, দুঃশাসন, মানাবধিকার নিশ্চিত না হলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে।

অর্থনীতিই আসল চাপ

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। অভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষের অংশ নেওয়ার পেছনে এটিই বড় কারণ বলে মনে করেন অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ।

রিজার্ভ ক্রমেই নিম্নমুখী, রপ্তানি কমছে। আগের সরকারের সময়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে অর্থনীতিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, নতুন সরকারকে দ্রুত অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হবে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে হবে। রিজার্ভ ঠিক করতে হবে। কঠিন হলেও তা অসম্ভব নয়।

গণঅভ্যুত্থানে সমর্থন জানিয়ে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করেছিল। এতে ধস নেমেছিল ডলার আসায়। তবে শেখ হাসিনার পতনের পর রেমিট্যান্স বেড়েছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে, প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।

আন্দোলনের কারণে গত ১৬ জুলাই থেকে উৎপাদন, রপ্তানিতে ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে, যা এখনও চলমান। নিরাপত্তা শঙ্কায় কলকারখানা পুরোপুরি সচল হয়নি। বার্ষিক সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে পোশাক রপ্তানি থেকে। বিশ্বের শীর্ষ খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক অস্থিরতার মধ্যে মার্কিন প্রতিষ্ঠান হুলা গ্লোবাল জানিয়েছে, কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশের বদলে অন্য দেশে দিয়েছে তারা।

নির্বাচন ও সরকারের মেয়াদ

নতুন সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে– এ প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা যায়নি। সংবিধান অনুযায়ী, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। দৈব-দুর্বিপাকের কারণে আরও তিন মাস পেছানো যাবে। বিএনপি দ্রুততম সময়ে নির্বাচন চায়। জামায়াত বলেছে, তারা কিছুদিন দেখতে চায়।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, মেয়াদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও আন্দোলনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ। যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে সরকার গঠিত হয়েছে এবং অনেক সংস্কারের দাবি রয়েছে, সেগুলো করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার মধ্যে এনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এই সরকার মেয়াদ শেষ করবে।

অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংবিধান মানলে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান মেনে হয়নি। তাই নির্বাচন তিন মাসে হবে– এমন সম্ভাবনা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কারের কথা বলছে, তাতে কয়েক বছর লাগবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে ভবিষ্যতে আবারও স্বৈরাচারের উদ্ভব হবে। আবার সরকার দীর্ঘ সময় দিলে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা নিজাম উদ্দিনের। তিনি বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে বড় অংশীদার। আওয়ামী লীগ এখন মাঠে নেই। এক-দুই বছর তারা যদি ঘুরে দাঁড়ায়। তিন দল মিলে নির্বাচন চাইলে, এ দাবি ঠেকানো কঠিন হবে।

আরও চ্যালেঞ্জ

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন। বাংলাদেশকে তিন দিক থেকে ঘিরে থাকা দেশটি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শপথ অনুষ্ঠানের পরপরই ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ ও সহায়তার আগ্রহ জানিয়েছে।
ভারতসহ কয়েকটি দেশের সমর্থন বর্তমান সরকার কতটা পাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন।

অন্তর্বর্তী সরকারে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কতটা থাকবে, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও এই সরকারে সামরিক নেতৃত্বের বড় প্রভাব থাকবে। তিনি বলেছেন, অনেকে আশঙ্কা করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ হলে তাতে সরকারে নিজেদের কর্তৃত্ব পাকাপোক্ত করার সুযোগ পাবে সেনাবাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনী সরকারে সক্রিয় ভূমিকা ও রাজনীতির কেন্দ্রে থাকার বিষয়ে অতটা আগ্রহী নয়।

 

খুলনা গেজেট/ এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!