ছোট মেয়ে সৌমিকার দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকী। আয়োজনের কোন কমতি ছিল না। ১০ পাউন্ড ওজনের দু’টি কেক, মোমবাতি, পার্টি স্প্রে, বেলুন, টুপি, বিরিয়ানির প্যাকেট সাথে আরসি কোলা কোন কিছুর কমতি ছিল না। অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন ছিলো প্রতিবন্ধীদের আনন্দ দেওয়ার জন্য।
৪০ জন প্রতিবন্ধী এবং তাদের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী জন্মদিন পালন করলেন নগরীর গগন বাবু রোডের বাসিন্দা ডাঃ আইচ লক্ষণ কুমার এবং সঞ্চিতা রানী দম্পতি। ডাঃ আইচ লক্ষণ কুমার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন। বর্তমানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। স্ত্রী সঞ্চিতা রানী দে একসময় খুলনা প্রি ক্যাডেট স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে সমাজের বিভিন্ন রকম মানবিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছেন।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ভিন্নধর্মী এ জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ, সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. ফরহাদ হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মজুমদার, পরিবেশবাদী সংগঠন আলোর মিছিলের উপদেষ্টা মোল্লা মাকসুদুল ইসলাম, খুলনা মেট্রোপলিটন লায়ঞ্চ ক্লাবের প্রতিনিধি কাজী রীনা, রোটারিয়ান রাখী জামান, খুলনা ব্লাড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সালাহউদ্দিন সবুজ, প্রতিবন্ধী ও দুস্থ কল্যাণ সংস্থা দিঘলিয়ার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম শরাফত, সাধারণ সম্পাদক মো. আকিদ হোসেন, অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. জাহিদ আহসান মিল্টন, মো. জহিরুল ইসলাম ও প্রমুখ।
জন্মদিনের এমন অনুষ্ঠানে এসে কেক, বিরিয়ানি প্যাকেট সাথে আরসি কোলা এবং অনুষ্ঠান স্থলে আসা যাওয়ার যাতায়াতের খরচ পেয়ে প্রতিবন্ধী এবং তাদের অভিভাবকরা উৎফুল্লতা প্রকাশ করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে