কুষ্টিয়ায় প্রতারণার অভিযোগে এক নারী চিকিৎসককে বেদম মারধর করেছে ভুক্তভোগীরা। সোমবার (৫ মে) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। তিনি কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকারি চাকরি, ঘরবাড়ি, জমি ও ভাতা দেওয়াসহ প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন জনের কাছে থেকে অন্তত ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন চিকিৎসক শারমিন সুলতানা।
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর এলাকার বাসিন্দা সুমি খাতুন বলেন, ‘আমি অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়ায় ডাক্তার শারমিন সুলতানা কাছে এসে চিকিৎসা নিয়েছিলাম। বেশ কয়েক বছরের পরিচয়। হঠাৎ করে ৭-৮ মাস আগে সরকারি চাকরি, জায়গা জমি, ঘরবাড়ি ও ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন ডাক্তার শারমিন।
আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।’
চুয়াডাঙ্গা জেলার বাসিন্দা দর্শনা সালমা খাতুন বলেন, ‘ডাক্তার শারমিন সুলতানা বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, আমরা আমাদের টাকা ফেরত পেতে চাই।
এ বিষয়ে চিকিৎসক শারমিন সুলতানারা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আজ দুপুরে আমি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই। সেখানে তারা আমাকে মারধর করে এবং আমার গহনা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন বেশ কয়েকজন নারী। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
খুলনা গেজেট/এমএনএস