বাগেরহাটের শরণখোলায় টাকার বিনিময়ে আদালতে গার্মেন্টসকর্মীকে দিয়ে প্রক্সি দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি আলোচিত সৌদি প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিকের। অবশেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। রবিবার (২৮ এপ্রিল) আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ড. মো. আতিকুস সামাদ জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এর একদিন আগে ২৭ এপ্রিল সৌদি থেকে বাংলাদেশে ফেরেন এই আসামি।
কারাগার থাকা ফরিদ উদ্দিন মানিক শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম খাদা গ্রামের মৃত আব্দুস ছালাম শেখের ছেলে।
২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল একটি মারামারির মামলায় টাকার বিনিময়ে আসামি ফরিদ উদ্দিন মানিক সেজে আদালতে হাজিরা দেয় একই উপজেলার আল আমিন তালুকদার নামের এক গার্মেন্টসকর্মী। তখন আদালতের বিচারক ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ড. মো. আতিকুস সামাদ জামিন প্রার্থনা না মঞ্জুর করে আল আমিন তালুকদারকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রক্সির বিষয়টি জানাজানি হয় এবং প্রায় ৬ মাস কারা ভোগের পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পায় আল আমিন তালুকদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বেলা ১১টার দিকে প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিক ও তার লোকজন রায়েন্দা এলাকায় বাদী আব্দুস সালাম ও তার ভাইদের জমি দখল করতে আসেন। এসময় বাঁধা দিলে ফরিদ উদ্দিন মানিকের লোকজন বাদী আব্দুস সালামের লোকজনের উপর হামলা করে। পরবর্তীতে আব্দুস সালাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিক সহ চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩১ মে চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে শরণখোলা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিক ছাড়া অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন নেয়। কিন্তু প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিক গোপনে সৌদি আরব পাড়ি জমান।
মামলার বাদী আব্দুস সালাম বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও মূল আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে, এজন্য আমরা খুশি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. অনিমা দেবনাথ বলেন, আসামি একজন প্রতারক। তিনি প্রবাসে থেকে টাকার বিনিময়ে আরেক জনকে দিয়ে আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। এটা অনেক বড় অন্যায়। এখন তিনি আত্মসমর্পন করেছেন। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। আশাকরি মামলার বাদি ন্যায় বিচার পাবে।
খুলনা গেজেট/এএজে