জানি না কীভাবে যেন আমি অজান্তেই
সকলকে আঘাত করে ফেলি প্রতিনিয়ত
আমার স্বভাবসুলভ আচরণের মধ্য দিয়ে!
অথচ আমার এ স্বভাবসুলভ আচরণ তো কখনো
আমার কোনো কবিতাকে কষ্ট দেয় না
কিংবা জল আনে না আমার কোনো সনেটের চোখে!
তাহলে আমার সমস্যার উৎসমূলটা কোথায়?
প্রতিদিন অস্তগামী সূর্যের নীমিলিত আলোতে
বাতাসে ডানায় ডানায় তরঙ্গ তুলে
নিজস্ব ঠিকানায় ফেরার ব্যাকুলতা পাখিদের যেমন জাগে;
আমিও তো তেমনই ব্যাকুল হই
কয়েকদিন আমার জন্মশহর থেকে দূরে থাকলে।
তাহলে আমার ভুলের উৎসমূলটা কোথায়?
এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সকলেই তো স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটাতে চায়
প্রতিশোধ প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতায় অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে;
ফলে আমিও কামনা করি সর্বত্র
আমার কবিত্বের প্রশংসা, জয়গান আর বিজয়।
তাহলে আমার দোষের উৎসমূলটা কোথায়?
আসলে মূলকথা হলো— আমি কখনোই
তোমাদের অহেতুক ভালোবাসাকে নিয়ে
ফালতু ফেস্টুন তৈরি করে প্রচার করিনি লোভনীয় কোনো বিজ্ঞাপন;
হয়তো সেটাই আমার এই পর্বতপ্রমাণ
পশুসুলভ আচরণের কারণ হয়ে থাকবে তোমাদের কাছে!