ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ একরামুল হককে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের রিঙ্কুয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহের পাশে পড়েছিল মোটরবাইক। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ একরামুল হক আগ ডিমটি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দীরামগছ সংসদের সদস্য। একই সঙ্গে তিনি ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ইন্ডিয়ান টাইমস জানায়, ইসলামপুর থেকে কাজ সেরে ফিরছিলেন তিনি। সেসময়ই তিন জন দুষ্কৃতি বাইকে চেপে এসে তাকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতিদের ছোঁড়া গুলি তার মাথা ভেদ করে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একরামুল হকের। পেছন থেকে এসে গুলি করে দুষ্কৃতিরা। প্রকাশ্য দিবালোকে এই কাণ্ডে শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি রিভলভার, চার রাউন্ড কার্তুজও। যদিও কী কারণে গুলি চালানো হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
যদিও রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যে চরিতার্থ করতেই এই ঘটনা বলে দাবি করেছেন দলের ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন। তিনি এই ঘটনায় বামদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
তিনি জানান, একরামুল চিরকালই ডানপন্থী। পুরনো বামেরাই তাকে হত্যা করেছে।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে সিপিআইএমের যোগসাজশ রয়েছে।’
ইসলামপুর জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কর বলেন, গুলি করে একজনকে খুন করা হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রকাশ্য দিনের আলোয় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও তুলেছেন স্থানীয়রা।
খুলনা গেজেট/এএ