খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ, প্রতিবেদকের বক্তব্য

গেজেট ডেস্ক

গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ অনলাইন পোর্টাল খুলনা গেজেটে প্রকাশিত “খুলনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে পড়ানোয় মন নেই শিক্ষকদের, অবকাঠামোও নাজুক” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মোঃ রেজাউল করিম। প্রতিবাদ লিপিতে তিনি উল্লেখ করেন,

প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে কলেজের কার্যক্রম একটি টীমের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের বিএড, বিএড অনার্সসহ যাবতীয় শ্রেণি কার্যক্রম নিয়মমাফিক চলছে। আমাকেসহ সহকর্মীদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি চক্র বেশ কিছুদিন সক্রিয় রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ থেকে অফিস সহায়ক পর্যন্ত সকলকে নিয়ে টীমের মাধ্যমে কলেজের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলছে। অধ্যক্ষ নিয়মমাফিক অফিস করছে, কলেজের কোন কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে না। কলেজের অবকাঠামো বর্তমান অধ্যক্ষই টিকিয়ে রেখেছে। আমরা কলেজের ১৯৭০ সালের সকল ভবন ভেংগে প্রায় সকল ভবন নির্মাণের জন্য ৭০ কোটি টাকার এবং অপরাপর অন্যান্য প্রকল্প জমা দিয়েছি, যার সকল ডকুমেন্টস অফিসে সংরক্ষিত আছে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে ১৯৭০ সালের নিম্নমাণের অবকাঠামো নির্মাণ এবং এ অঞ্চলের জলবায়ুগত কারণে কলেজের অবকাঠামো রক্ষাণাবেক্ষন ঠিক রাখা কষ্ট সাধ্য হচ্ছে। এছাড়া এই তেলীগাতি এলাকার সকল পানি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই কলেজ বৃষ্টি হওয়া মাত্র গড়ে ৩/৪ ফুট পানির নিচে চলে যাচ্ছে। আরো উল্লেখ্য যে, প্রায় ৭/৮ মাস আগে কলেজের সামনে ঠিকাদার কোম্পানি মাহবুব ব্রাদার্স আমাদের নিরাপত্তা দেওয়াল এর সাথে ড্রেন নির্মাণ শুরু করেছে; কাজ এখনও চলছে। এই ঠিকাদার কোম্পানি নিয়মমাফিক নির্মাণ কোড অনুসরণ না করায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনার সামনের অংশের পুরো নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙে ফেলেছে, যার ফলে কলেজের নিরাপত্তা নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে যথাসময়ে তা জানানো হয়েছে। আমরা অবকাঠামো ঠিক রাখার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে আরো বরাদ্দ চেয়েছি। এগুলো পেলে অবকাঠামোগত মান ঠিক রাখা সম্ভব হবে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনটিতে কলেজের বাস্তব অবকাঠামগত নানাবিধ সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কলেজের বর্তমান নাজুক অবকাঠামোর জন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কিংবা কোন ব্যক্তি বিশেষকে দায়ী করা হয়নি। প্রতিবেদনে বাকি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের দেওয়া তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেদক গত দুই বছরে একাধিকবার প্রতিষ্ঠানটিতে সরজমিনে গিয়েছেন। কিন্তু অধিকাংশ সময় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে অনুপস্থিত পেয়েছেন। অধ্যক্ষ কোথায় আছেন? জিজ্ঞেস করলে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা প্রতিবারই জানান স্যার অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় আছেন। এছাড়া প্রতিবারই প্রতিষ্ঠানের ৩০ জন শিক্ষকের মধ্যে সরজমিনে গিয়ে ১৫/২০ জন শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করার পূর্বে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলতে না পেরে প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল রহিমা খাতুনের বক্তব্য প্রতিবেদনের শেষাংশে তুলে ধরা হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!